বরগুনা ২ আসনের সাবেক সংসদ গোলাম সারোয়ার হিরুর দায়ের করা মামলায় তাঁর ছেলে গোলাম মোর্শেদ রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে, পাথরঘাটা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত রানাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বরগুনা ২ আসনের সাবেক সাংসদ গোলাম সারোয়ার হিরু অভিযোগ, তার বড় ছেলে গোলাম মোর্শেদ রানার সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জেরে হিরু পাথরঘাটা বুধবার সকালে পাথরঘাটা থানায় ছেলে রানার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, রানা বিভিন্ন সময়ে রানা তার বাবা হিরু ও তার ছোটো ছেলে রণি এবং স্ত্রী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুর আফরোজ হেপীকে এবং নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়াও তার বসত ঘর, গোয়াল ঘরের ২০টি গরু, মাছ ধরার ট্রলার এবং দুই লক্ষ্য টাকার গাছ আত্মসাত করেছে। মামলায় আরো উল্লেখ করেন গত মঙ্গলবার দুপুরে রানা তার ব্যক্তিগত মটর সাইকেল ও বসত ঘরে আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে, অভিযুক্ত রানা ও তার স্ত্রী বেবি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তাদেরকে বসতঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই তার বাবা হিরু তার ছোট মা (দ্বিতীয় স্ত্রীকে) নিয়ে চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, ২৮ বছর পূর্বে বাবার অত্যাচার নির্যাতনের কারণে বিনা চিকিৎসা আমার শাশুড়ি মারা গেছে। তার পরে শ্বশুড় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপরই আমার স্বামীকে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে হিরু ও রানার সাথে জমিজমা ভোগদখল সংক্রান্ত বিরোধ বিদ্যমান। এ নিয়ে অনেক সালিস বৈঠক হলেও নিস্পত্তি হয়নি। এমন বিষয় নিয়ে থানায় একাধিক বার সালিশ বৈঠক হয়েছে। গত দুই মাস আগে হিরু ও ছোটো ছেলে রণি রানা ও তার স্ত্রীকে মারধর করেছিল। এ নিয়েই বিরোধ চুড়ান্তে রুপ নেয়।
গোলাম সরোয়ার হিরু ১৯৯৬ সালের ৬ষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এবং একই বছরের ১২ জুনের ৭ম সংসদে তিনি ইসলামী ঐক্যজোট থেকে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। এর আগে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও অপসারিত হন। ২০০১ সালে তিনি ওই আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয় পেয়ে বিএনপির নুরুল ইসলাম মনির কাছে পরাজিত হন।