সিলেটের অপার সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি জৈন্তাপুরের লালাখাল। ঘন সবুজ প্রকৃতি, সারি নদীর নীল জলরাশির সাথে বাড়তি আকর্ষণ চা-বাগান ও পাহাড়।
দূর থেকে নদীর দিকে তাকালে মনে হয় যেন নীলের বিছানা। নীল জলরাশি আর দুই তীরে সবুজের মেলবন্ধন যেন স্বপ্নের মতো। ভারতের চেরাপুঞ্জি থেকে বাংলাদেশের লালাখাল হয়ে বয়ে আসা এই স্রোতস্বিনীর নাম 'সারি নদী'। ছবির মতো সুন্দর এই জায়গায় বছরজুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রকৃতি প্রেমীদের।
লালাখালের পথে সারি নদীর বুকচিরে নৌকায় সামনে এগুলে কেবল মুগ্ধ হওয়ার পালা। আঁকাবাঁকা নদীর স্বচ্ছ জলরাশি আর স্রোতের ঢেউয়ে ঝিলমিল রোদ। এমন নীল জলের শেষ যেখানে, সেখানে লালাখাল।
লালাখাল ঘেঁষেই চা বাগানের সবুজ চাদর। তবে, প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয় বেহাল রাস্তাঘাটের জন্য।
তবে এ অঞ্চলে যাতায়াতের সমস্যার কথা স্বীকার করে পর্যটন বিকাশে নানা পরিকল্পনার কথা জানালেন জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। তিনি জানান, রাস্তা ঘটের উন্নয়নের জন্য সড়ক বিভাগের সঙ্গে মিলে কাজ করা হচ্ছে, এর মধ্যে জাফলং যাওয়ার রাস্তার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এছাড়া বেশকিছু কাজ শুরু হয়েছে ও চলছে বলেও জানান তিনি।
পর্যটন বিকাশে দ্রুত অবকাঠামোগত সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।