বাংলাদেশ, জেলার সংবাদ, কৃষি

সূর্যমুখীর ভালো ফলনে খুশি পিরোজপুর-কুমিল্লার চাষিরা

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ৯ই এপ্রিল ২০২১ ০৯:০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনে খুশি পিরোজপুর ও কুমিল্লার চাষিরা। কম খরচে লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন সূর্যমুখী চাষে। চাষিদের উৎসাহিত করতে সবধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

সবুজ মাঠে হলুদ সূর্যমুখী ফুল। অগ্রাহায়ণ-পৌষ মাসে কুমিল্লার হোমনা, তিতাস, দেবিদ্বার, সদর দক্ষিণ, চৌদ্দগ্রামে জমিতে বপন করা হয় বীজ। বিঘা প্রতি খরচ প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় তৈলবীজ পাওয়া যাবে ১০-১২ মণ। যা বাজারে প্রতি মণ ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রির আশা চাষিদের। তারা জনান,'আশা করছি এ ফুল চাষ করে আমি লাভবান হবো। আমি যদি লাভবান হই তবে আমাদের এলাকার সকল লোক এ ফুল চাষে উৎসাহি হবে।'

তেল উৎপাদন করা যায়-এমন ফসলের চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ অনেক সহজ ও খরচ কম। তাই জেলার বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে সূর্যমুখীর চাষ।

কৃষি কর্মকর্তারা জানালেন, ১০ হাজার টাকা খরচ করে ১ লাখ টাকা সূর্যমুখীর তেল বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা। কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সহীদুল হক বলেন,'ভোজ্য তেলের ঘাটতি পুরণে সূর্য্যমুখী তেল বিরাট ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।'

সূর্যমুখীর ভালো ফলনে খুশি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার চাষিরাও। আমন ধান তোলার পর পতিত জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করে তিনমাসেই ঘরে তুলতে পারছেন ফসল।  এছাড়া অন্যান্য তেলের তুলনায় বাজারে সুর্যমুখী তেলের চাহিদা বেশি-তাই বিক্রি নিয়েও কোনো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না চাষিদের।

চাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হয়েছে বলে জানায় কৃষি কর্মকর্তা। পিরোজপুর নাজিরপুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিজন কৃষ্ণ হাওলাদার বলেন,'বিঘা প্রতি সূর্যমখী ফুল চাষে খরচ হয় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। আর বিঘা প্রতি চাষিরা পাচ্ছেন বিশ থেকে বাইশ হাজার টাকা।'

এ বছর পিরোজপুরে ৫০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে।

আরও পড়ুন