কোরবানির ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে নরসিংদীর পশু খামারিদের। এবারও প্রাণিদেহের জন্য ক্ষতিকর কোন ওষুধ ছাড়াই পশু মোটাতাজা করেছেন জেলার বহু খামারি। তবে, বিধিনিষেধের কারণে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় অনেকে। এদিকে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বহু খামারি অনলাইনে পশু বিক্রির দিকে ঝুঁকছেন। ফেসবুকে পেজ খুলে বিক্রি করছেন পশু। আর তা পৌঁছে দিচ্ছেন গ্রাহকের দ্বারপ্রান্তে।
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নরসিংদী জেলার খামারিরা। প্রাণিদেহের জন্য ক্ষতিকর ওষুধ ছাড়াই পশু মোটাতাজা করেছেন জেলার বহু খামারি। খৈল, কুড়া, চালের খুদ, ছোলা, ভুষি, কাঁচাঘাস খাইয়ে বড় করেছেন এসব পশু।
গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার পশু লালন-পালনে বাড়তি খরচ হয়েছে, বলছেন খামারিরা। তাই করোনা পরিস্থিতিতে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় অনেকে।
নরসিংদীর প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খান বলছেন, জেলায় ৬ হাজার ৭শ'রও বেশি খামারি দেশি পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজা করেছেন। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যা অন্য জেলায়ও পাঠানো সম্ভব।
তিনি জানান, 'রাসায়নিকের দ্বারা গরুর স্বাস্থ্য বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু নরসিংদীতে এ ঘটনা খুবই বিরল। বিগত বছরগুলোতে যেমন উদ্বৃত্ত ছিলাম তেমনি এ বছরও উদবৃত্ত আছি কোরবানির পশুতে।'
এদিকে, মহামারির কারণে এবার অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির দিকে ঝুঁকেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারিরা। বিধিনিধেষের কারণে হাটে ক্রেতা না আসলে পশু অবিক্রিত থেকে যেতে পারে। তাই এখন থেকেই ফেসবুকে পেজ খুলে বিক্রি করছেন পশু।
হাটে না গিয়ে অনলাইনে পশু বিক্রির জন্য খামারিদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবিএম সাইফুজ্জামান। তিনি বলেন, 'ফেসবুকে তাদের তথ্যগুলো আপডেট করা হচ্ছে। অনেকেই অনলাইনে কেনাবেচা করছেন। ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।'
জেলায় গবাদি পশুর খামার আছে ১২ হাজারেরও বেশি। এসব খামারে এবার কোরবানির জন্য লালন পালন করা হয়েছে এক লাখ ৭৭ হাজার পশু।