অগ্নিকাণ্ডের শিকার হওয়া দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানাটির অনুমোদন ছিলো না বলে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে এসে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেরাণীগঞ্জের হিজলতলায় প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানাটির অনুমোদন ছিল না। সেই কারখানায় অগ্নি নির্বাপণের কোনো ব্যবস্থাও ছিল না। প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, সারাদেশে এসব বিষয় তদারকির জন্য জনবলের অভাব রয়েছে।
"এর আগেও সে সমস্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সে সমস্ত আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং ডেকে বলেছি, সেখানে আমাদের প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় বলেছে যে তাদের জনবলের যথেষ্ট অভাব আছে। যার জন্য সারা বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করে সেগুলোকে কমপ্লায়েন্সের জন্য তাগিদ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা জনবল বাড়ানোর জন্য তাগিদ দিয়েছি।"
পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেকও আহতদের দেখতে হাসপাতালে আসেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নিয়ম না মেনেই ফ্যাক্টরি তৈরি করা হচ্ছে যেখানে ফায়ার সেফটির বিষয়ে কোনো নজর দেয়া হচ্ছে না। এছাড়াও ফ্যাক্টরিগুলো আলাদা জায়গায় সরিয়ে নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটসহ ক্রাউড কন্ট্রোল টিমের সদস্যরা দীর্ঘ ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কারখানার ভিতরে দুই থেকে আড়াইশ শ্রমিক কাজ করছিলো। দ্রুত বহির্গমনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে।
এর আগেও, এই কারখানায় তিনবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আবাসিক এলাকা থেকে দাহ্য পদার্থের কারাখানা অপসারণের দাবি জানান এলাকাবাসী।