বিজ্ঞান, দর্শন ও ধর্ম নিয়ে লেখালেখির জন্য অভিজিৎ রায়কে জঙ্গিরা খুন করেছিল কি না, তার বিচার করেছে আদালত। তাই এই রায় প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন নিহত লেখকের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ফেইসবুকে দেয়া একটি বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, জঙ্গি অর্থায়নের উৎস বের করতে না পারলে লেখক-প্রকাশক হত্যার বিচার সম্পূর্ণ হবে না।
স্বাধীন মত প্রকাশের পথ রুদ্ধ করতেই বিজ্ঞান লেখক অভিজিত রায়কে হত্যা করেছিল আনসার আল ইসলামের জঙ্গিরা। ছয় বছর পর আলোচিত মামলাটির রায়ে এ কথা বলেছে আদালত।
এ মামলার বিচার্য বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই জঙ্গি হামলায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া অভিজিতের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা। কিন্তু খুনিদের লক্ষ্য, কার্যক্রম বিচারের আওতায় আসেনি। বন্যা তার ফেইসবুক বিবৃতিতে বলেন- অভিজিতের বিজ্ঞান, দর্শন ও ধর্ম নিয়ে ব্লগ লেখা ও বই প্রকাশকে খুনের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। যা তার ও পরিবারের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
অভিজিৎ হত্যা মামলার শুনানিতে তার স্ত্রী সাক্ষ্য দিতে চান না বলে জানুয়ারিতে দাবি করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী। এই বিষয়কে মিথ্যাচার অভিহিত করে বন্যা বলেন, গেল ছয় বছরে এই মামলা নিয়ে তার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগই করেনি।
অভিজিৎ হত্যার মূলহোতা বরখাস্ত মেজর জিয়া ও আকরাম এখনও গ্রেপ্তার না হওয়ায় অসন্তোষ জানিয়ে বন্যা বলেন, হামলার নেতৃত্বে থাকা আরেক আসামি মুকুল রানাকে ধরার পরও বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু কেন- সেই প্রশ্ন তুলেছেন বন্যা।
জঙ্গি অর্থায়নের উৎস বের করতে না পারলে প্রগতিশীল লেখক-প্রকাশক হত্যার বিচার সম্পূর্ণ হবে না মন্তব্য করেন অভিজিতের স্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে উগ্রবাদ নির্মূলেও ভূমিকা রাখতে পারবে না এ ধরনের রায়।