জাতীয়, অর্থনীতি

অর্থনীতির সব সূচক নেতিবাচক, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা নিয়ে শঙ্কা

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ১৯শে ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:১৬:১৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

চলতি অর্থবছরে অর্থনীতির নানা সূচক নিম্নমুখী হওয়ায় শঙ্কা জেগেছে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার সম্ভবনা নিয়ে।

আমদানি রপ্তানি চিত্র নেতিবাচক। কমেছে বেসরকারিখাতের ঋণ প্রবাহ। লক্ষ্য অনুযায়ী আহরণ হচ্ছে না রাজস্বও। সবশেষ চীনে করোনাভাইরাসের প্রভাবে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে সৃষ্টি হয়েছে শঙ্কা। এই সব বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা কঠিন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না সরকারও।

গেল অর্থবছরে ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে কেবল দক্ষিণ এশিয়া নয় বরং সারাবিশ্বেই সাফল্য কুড়িয়ে ছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু, চলতি অর্থবছরে অর্থনীতির নানা সূচক নিম্নমুখী হওয়ায় শঙ্কা জেগেছে উচ্চতর প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার সম্ভবনা নিয়ে।

এ বিষয়ে পিআরআই এর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, ঋণের প্রবাহ কমে যাচ্ছে, এখন ঋণের প্রবাহ ৯ শতাংশের একটু বেশি। রেকর্ড প্রবৃদ্ধি যদি সত্যি হতো তাহলে আমরা দেখতে পেতাম বেসরকারিখাতের প্রবৃদ্ধি ১৭ থেকে ১৮ শতাংশের কাছাকাছি হতো।

চলতি অর্থবছরে রপ্তানির বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও ইপিবি'র তথ্য বলছে, গেল ৭ মাসের ৬ মাসেই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। সেই সঙ্গে কমেছে আমদানি প্রবৃদ্ধিও। এর ওপর চীনের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে শুরু করে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পও।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'করোনাভাইরাসের কারণে সাময়িক একটা নেতিবাচজ প্রভাব পড়েছে। কারণ আমাদের দেশের প্রায় ২৬ শতাংশ পণ্য আমদানি হয় চীন থেকে। যদি এই প্রভাব আরও স্থায়ী হয় তখন এর প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে।' এমনকি প্রতিযোগিতার সক্ষমতার ওপরও এর একটা প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

বিশ্লেষকদের শঙ্কার সঙ্গে একমত সরকারও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয় ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

আরও পড়ুন