খেলাধুলা, অন্যান্য খেলা

অলিম্পিকের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া ১০ ঘটনা

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ৬ই মে ২০২০ ০৩:২৬:২৩ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

নিজস্ব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে সেরা সব মূহুর্ত।

করোনার থাবা পড়েছে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত অলিম্পিকে। চলতি জুনে টোকিওতে হওয়ার কথা থাকলেও পিছিয়ে গেছে ১ বছর। লকডাউনে পুরো পৃথিবী। এরই মাঝে নিজস্ব চ্যানেলে অলিম্পিক প্রকাশ করেছে তাদের হিসেবে গেমসকে বদলে দেয়া সেরা দশ আইকনিক মোমেন্টস।  চলুন জেনে নিই, অলিম্পিকের সেই দুনিয়ার যুগান্তকারী গল্পগুলো।

অলিম্পিকে অ্যাথলিটরা অংশ নেয় নিজ নিজ দেশের পতাকাতলে। তবে, যাদের নেই কোন দেশ...তাদেরকে ভুলে যায় নি গেমস। ২০১৫ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী বাড়তে থাকে শরণার্থীর সংখ্যা। পরের বছর রিওতে নানা দেশের দশজন অংশ নেন অলিম্পিকে, রিফিউজি টিমের হয়ে ঝান্ডা উড়িয়েছেন সাম্যের।

অলিম্পিকে ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডের আছে আলাদা কদর। ১৯৩২ সালের আগ পর্যন্ত স্ট ওয়াচ ব্যবহার করে চলতো সেরা নির্ধারণ। ক্লোজ ফিনিশের ক্ষেত্রে ফল আসতো আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে। এল এ অলিম্পিকে প্রথম ব্যবহার করা হয় ফটো ফিনিশ। ১০.৩৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে ১০০ মিটার রেইসটা জিতেছিলেন এডি টোলান।

অলিম্পিকে সব চেয়ে মর্যাদার ইভেন্ট মানা হয় ১০০ মিটারকে। জানা যায় কে বিশ্বের দ্রুততম মানব। ১৯৬৮ সালে সর্ব প্রথম ১০ সেকেন্ডের কমে দৌড়টা শেষ করেন আমেরিকার জিম হাইনস। বোর্ডে লেখা আসে ৯.৯০ সেকেন্ডস। পরে মেপে যা আপডেট করা হয় ৯.৯৫ সেকেন্ড। 

বার্সেলোনা অলিম্পিকে সবার নজর কেড়েছিলেন যুক্তরাজ্যের ক্রিস ব্রডম্যান। স্পেনে তিনি নিয়ে এসেছিলেন ভিন্ন ধরণের এক সাইকেল। যেটার মাঝে বাতাস বইবার জন্য রাখা হয়েছিলে বিশেষ ব্যবস্হা। ফলাফল পেয়েছিলেন হাতেনাতে। দুই-দুইবার বিশ্বরেকর্ড ভেঙে বনেছিলেন চ্যাম্পিয়ন। 

গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের গ্রেটেস্ট মানা হয় সুইমার মাইকেল ফেলপসকে। অলিম্পিক গেমসে সব চেয়ে বেশি ২৮ পদকের মালিক এই আমেরিকান, যার মধ্যে ২৩টাই গোল্ড। ২০০৮ এ বেইজিংয়ে অসাধ্য সাধন করেছিলেন ফেলপস। আট ইভেন্টের সবগুলোতেই জেতেন স্বর্ণ, ভেঙে ফেলেন মার্ক স্পিৎজের সাত স্বর্ণের রেকর্ড।

এককে যদি সেরা হন ফেলপস তবে দলগত ইভেন্টে সেরা মানা হয় ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল দলকে। ঐ অলিম্পিকের আগে প্রফেশনার বাস্কেটবল খেলোয়াড়রা খেলতে পারতেন না গেমস। সে বার নিয়ম বদলানোর পর যুক্তরাষ্ট্র পাঠায় এনবিএর সেরা তারকাদের এক স্কোয়াড যাতে ছিলেন জর্ডান, জনসন, ম্যালোনরা।

১৯৬০ সালের আগে কেউই তেমন চিনতেন না আবেবে বিকিলাকে। ইথিওপিয়ান রানার অংশ নিয়েছিলেন ম্যারাথনে। সবাইকে পেছনে ফেলে জিতেছিলেন স্বর্ণ। তবে, মজার ব্যাপার কাজটা বিকিলা করেছিলেন খালি পায়ে। জুতা কেনের সামর্থ্যও যে ছিল না বিকিলার।

কান্ড একটা ঘটিয়েছিলেন বটে বব বিম্যান। ১৯৬৮ সালে যার সাক্ষী হয়েছিলো মেক্সিকো অলিম্পিক। লং জাম্পে পেরিয়েছিলেনর ৮.৯০ মিটার। লাফটা এতটাই বেশি ছিল যে ছাড়িয়ে গিয়েছিলো মাপার মেশিনের রিডিং। পরে তা মাপা হয়েছিলো টেপ দিয়ে, রেকর্ডটা টিকে আছে এখনও।

১৯৭৬ এ মন্ট্রিল অলিম্পিকের ঘটনাটাও একই রকম। জিমন্যাস্টিকসে ১০ এ ১০ পাওয়ার ঘটনা সেবারই ঘটে প্রথম। ঘটান নাদিয়া কোমানিচি। ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডে সর্বোচ্চ নাম্বার দেয়া যেতো ৯.৯। পরে সেটা দেখানো হয়েছিলো ১.০০ এর মাধ্যমে।

যে কোন খেলাই পরিবর্তন হয় রয়ে সয়ে, ধীরে ধীরে। তবে, ১৯৬৮ মেক্সিকো অলিম্পিকে এক ধাক্কায় হাই জাম্পকে বদলে দিয়েছেন ডিক ফসবুরি। আগে যেখানে সবাই সোজা লাফ দিতেন সেখানে ফসবুরি দেখিয়েছেন উল্টো ভাবে কাজটা অনেক বেশি সহজ।

আরও পড়ুন