সাহিত্য

অসীম হিমেলের লেখা প্যারাসাইকোলোজিক্যাল উপন্যাস 'খেদু মিয়া'

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ২৪শে মার্চ ২০২১ ০৩:৩৬:১২ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

অমর একুশে বইমেলায় এসেছে অসীম হিমেলের লেখা প্যারাসাইকোলোজিক্যাল বা আদিভৌতিক উপন্যাস 'খেদু মিয়া'

খেদু মিয়া ফরেনসিক মেডিসিনের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর। খেদু মিয়া নামটা তার বাবা মা কেউ রাখেনি। স্কুলে পড়ার সময় তার নাম বদলে দেয় ক্লাস টিচার খালেক স্যার। তার ভালো নাম ছিলো মোঃ খাদেমুল ইসলাম। স্যারের সাথে নাকি জ্বিনের সম্পর্ক ছিলো। সে মোটামুটি ধরনের ছাত্র ছিলো। স্যার মারা যাওয়ার পরে তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন আসে এবং লক্ষ্য করে সে অপঘাতে মারা যাওয়া বা আনন্যাচারাল ডেথের ডেডবডির কথা শুনতে পারে। যার কারণে মেডিকেলে পড়ার সময় এনাটমি ক্লাসের ডেডবডির কথা বুঝতে পারতো। এর জন্য অন্য ছাত্ররা তাকে এড়িয়ে চলতো। এরই মধ্যে তার সাথে ঘটতে থাকে অতিপ্রাকৃত কিছু ঘটনা।

খেদু মিয়া মেডিকেলে অনেক ভালো রেজাল্ট করার পরেও সার্জারি বা মেডিসিনে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করতে পারেনি কিন্তু ভুল করে ফরেনসিক সাবজেক্টে খুব ভাল রেজাল্ট করে চান্স পায়। ফরেনসিকের সাথে সাইকোলজির এক্সট্রা গুনের কারণে কখনো পুলিশ ডিপার্টমেন্টে বা বিভিন্ন ভার্সিটিতে ক্লাস নিতে হয় খেদু মিয়ার | অনেক পুলিশ অফিসার কোনও মরদেহের তদন্ত করতে কোনও সমস্যায় পড়লে খেদু মিয়ার সাহায্য নেয়।

এরই মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে গিয়ে তার সাথে পরিচয় হয় তিথি নামের একটি মেয়ের। তিথি খেদু মিয়ার ক্লাস করে জানতে পারে সে ভয়ংকর এক বিশ্রী মানসিক রোগে আক্রান্ত। মৃত দেহ স্পর্শ করলে সে শারীরিক ও মানসিক আনন্দ লাভ করে। সে জানতে পারে এই বিরল মানসিক রোগের নাম টেকটাইল নেক্রোফিলিয়া বা নেক্রোফিলিয়াক্স। দিন দিন এই রোগ তিথির শরীরে জেঁকে বসে। যার কারণে সে ঘুরতে থাকে বিভিন্ন মৃত দেহের খোঁজে, কবর থেকে কবরে বা শ্মশানে। যার কারণে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তার বাবা মা। ভয়ঙ্কর এ রোগ থেকে বাঁচার জন্য সে খেদু মিয়ার সাহায্য চায়।

খেদু মিয়ার সাথে তিথির একদিন দেখা হয় রায়ের বাজার বদ্ধভূমির কবরস্থানের পাশে। তিথিকে দেখার পর তার নিজের কাছেই সন্দেহ হলো এই তিথিকে সে কিভাবে এই রোগ থেকে মুক্তি দেবে। তিথি এখন হিংস্র পশুর মতো করে হাটে।

তিথির এই রোগ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে গিয়ে সে মেডিকেলের চিকিৎসার বাইরেও চেষ্টা চালায় তার স্কুলের সেই মৃত খালেক স্যারের মাধ্যমে। তখনই সে জানতে পারে তার পূর্বপুরুষের এক ভয়ঙ্কর পাপের কথা এবং খেদুমিয়া নামের আসল রহস্য। ছোটবেলায় তার বাপ-চাচারা মিলে খেদু মিয়া নামের তাদের এক ভৃত্যকে পিটিয়ে মেরে ফেলে চুরি করে ভাত খাওয়ার অপরাধে। সেই মরদেহ পুকুরে পুঁতে রাখে এক লোহার রড দিয়ে।

খেদু মিয়া কি পারবে তিথিকে বাঁচাতে আর তার পূর্বপুরুষের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে। মানুষ চাইলেই কি সব পারে?

আরও পড়ুন