চুলের যত্ন যত্ন বা ত্বকে অ্যালোভেরার যোগ করবে আলাদা মাত্রা। অ্যালোভেরা পাতার ভিতর যে পুরু শাঁস ততে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে যা শরীরকে নানা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম।
এছাড়া অ্যালোভেরায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল মতো উপাদান আমাদের শরীরের জন্য উপকারি। আর এ গাছ টবেই হয় খুব সহজেই আবার তেমন কোন যত্নেরও প্রয়োজন হয় না। সহজলভ্য এই অ্যালোভেরা দিয়ে হোক আপনার রূপচর্চা এবং স্বাস্থ্যের যত্ন।
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে অ্যালোভেরা। কারণ অ্যালোভের পাতার ভেতরে যে স্বচ্ছ শাঁস থাকে তার মূল উপাদান হল পানি। এই কারণে এটির ব্যবহারে বজায় থাকে ত্বকের আর্দ্রতা। ফলে বলিরেখা পড়ার হাত থেকে রক্ষা পায় ত্বক। অ্যালোভেরা সরাসরি ত্বকে লাগাতে পারেন। বাজারে প্যাকেটজাত অ্যালোভেরা জেল পাওয়া যায়। অ্যালোভেরার শাঁস অথবা জেলের সঙ্গে দুধ, মধু, কাঁচা হলুদ বাটা ও দুধের সর মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরা, শসার রস ও দইয়ের তৈরি প্যাক রোদে পোড়া ত্বক এবং ব্রণ তাড়াতে ভাল কাজ করে।
চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। এর রসে আছে প্রোটিওল্যাক্টিক এনজাইম, যা মাথার তালুর কোষগুলির স্বাস্থ্যরক্ষায় সক্ষম। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়া কমে, বাড়ে চুলের দৈর্ঘ্য। দূর হবে মাথার খুশকি এবং সংক্রমণ। এটিকে কন্ডিশনার হিসাবে ব্যবহার করলে চুল থাকবে কোমল।
ওজন কমাতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিড ও উপকারী কিছু উপাদান। নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। মেটাবলিক রেট বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে এই রস। তবে এর স্বাদ তিতা। তাই ব্লেন্ডারে এর শাঁস নিয়ে তার সঙ্গে পানি, বরফ, মধু ও লেবুর রস দিয়ে ব্লেন্ড করে প্রতি দিন সকালে তা পান করুন।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এই পানীয়। নিয়মিত পান করলে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ে। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায় অ্যালোভেরার থাকা ল্যাটেক্সটি। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে দারুণ কার্যকর।