মার্কিন সরকার আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক নস্যাত করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন, ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিশনের মুখপাত্র আবুলফজল আমুয়ি।
গতকাল শনিবার তিনি তেহরানে বার্তা সংস্থা ইরান প্রেসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন।
আমুয়ি বলেন, ইরান পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রে সর্বশেষ যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা পরমাণু সমঝোতার ভিত্তিতে নিয়েছে। এছাড়া, নিজের বেসামরিক পরমাণু কর্মসূচি পূর্ণোদ্যমে চালিয়ে যাওয়ার অধিকার তেহরানের রয়েছে।
তিনি বলেন, আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইরানের সঙ্গে আইএইএ’র সম্পর্ক নষ্ট না করে পরমাণু সমঝোতায় নিজেদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করা। ইরানের এই মুখপাত্র বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো যেন আইএইএ’র নির্বাহী পরিষদের অপব্যবহার না করে। কারণ, তেমনটি করলে এই সংস্থার সঙ্গে ইরানের সম্পর্কে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
২০১৮ সালের মে মাসে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে বের করে নিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ইরানও এর প্রতিক্রিয়ায় পরমাণু সমঝোতায় নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন কমিয়ে দিতে শুরু করে এবং বর্তমানে শতকরা ২০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে তেহরান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার দেশের পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার জন্য এখন ইরানকে আগে তার প্রতিশ্রুতিতে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। কিন্তু তেহরান বলছে, আগে আইন লঙ্ঘন করেছে বলে আমেরিকাকেই আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে সদিচ্ছার পরিচয় দিতে হবে এবং তারপর তেহরান তার প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যাবে।