আন্তর্জাতিক, আরব

আফগানিস্তানে দুটি বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৯

ফারুক

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ২৯শে এপ্রিল ২০২২ ০১:২০:৩২ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে দুটি মিনি ভ্যানে বিস্ফোরণে অন্তত নয় জন নিহত হয়েছেন। দেশটির মাজার ই শরিফ শহরে বৃহস্পতিবার এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ জানায়, ভ্যানটিতে অবস্থানকারী যাত্রীরা শিয়া ধর্মাবলম্বী ছিলেন।

এদিকে, টেলিগ্রামের এক বার্তায় এই হামলার দায় স্বীকার করে পোস্ট দিয়েছে আইএস। 

মাজার-ই-শরিফ প্রশাসনের এক মুখপাত্র জানান, বিস্ফোরিত বোমাগুলো আগে থেকেই ভ্যানের ভেতর স্থাপন করা ছিল। এই ঘটনায় ১৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

এর আগে গেল সপ্তাহেই দেশটির একটি শিয়া মসজিদে বিস্ফোরণে ১১ জন নিহত হন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে আফগানিস্তানে জনসাধারণের বিরুদ্ধে হামলার সংখ্যা কমেছে। কিন্তু জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী শিয়া জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা করেই চলেছে। মূলত শিয়াদেরকে ধর্মদ্রোহী বলে মনে করে থাকে আইএস।

আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র আসিফ ওয়াজিরি এএফপিকে বলেছেন, বৃহস্পতিবারের মাজার-ই-শরীফের পৃথক জেলায় একে-অপরের ঠিক কয়েক মিনিটের ব্যবধানে মধ্যে বিস্ফোরণগুলো ঘটে। এই মিনিবাসের যাত্রীরা রোজা ছিলেন এবং ইফতারের জন্য বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন।

তিনি জানান, শিয়া যাত্রীদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। হামলায় আরও ১৩ জন আহত হয়েছেন। তার অভিযোগ, ‘আফগানিস্তানের শত্রুরা আমাদের জনগণের মধ্যে উত্তেজনা ও বিভেদ সৃষ্টি করছে।’

হামলার কয়েক ঘণ্টা পর জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এর দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে এএফপি।

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবানের দাবি, তারা জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে পরাজিত করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের কাছে এখনও একটি প্রধান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। অবশ্য গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানে বোমা হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

সপ্তাহখানেক আগে হওয়া এক হামলার পর পাকিস্তান থেকে বিবিসির সেকেন্দার কেরমানি বলেছিলেন, আফগানিস্তানে আইএস কোনো এলাকা বা অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে না, কিন্তু তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী তালেবান গোষ্ঠী ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীটি এমন সব এলাকায় হামলা চালাচ্ছে যেখানে আগে কখনোই তাদের উপস্থিতি ছিল না।

২০২১ সালে তালেবান কাবুলের দখল নেয়ার পর কিছুদিন হামলা ও বিস্ফোরণের ঘটনা কমে এলেও সাম্প্রতিক সময়ে তা আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দেশটিতে আইএস জঙ্গিদের উপস্থিতি অনেকটাই কমিয়ে আনার দাবি করেছে তালেবান সরকার। 

আরও পড়ুন