জামায়াতকে সমর্থন ও অগণতান্ত্রিক আচরণের অভিযোগে অলি আহমেদকে বাদ দিয়ে এলডিপির নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন দলটির অপর সাত নেতা। অন্যদিকে, অলি আহমেদের দাবি দলের নিবন্ধন তার নামে। আর যারা দলত্যাগ করছেন তারা কেউই গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেও জানান তিনি।
২০০৬ সালে জামায়াত প্রীতির অভিযোগে বিএনপি ছাড়েন মুক্তিযোদ্ধা অলি আহমদ, গঠন করেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
নানা রাজেনৈতিক হিসাব-কিতাবের ফলাফলে সময়ের বিবর্তনে নিজের গড়া দল এলডিপি নিয়ে আবারো গাঁটছড়া বাধেন সেই বিএনপির সঙ্গেই। সবশেষ জামায়াতকে পাশে রেখে ঘোষণা করেন জাতীয় মুক্তি মঞ্চ।
সোমবার মুক্তিযোদ্ধা অলির প্রতি অতিরিক্ত জামায়াত প্রীতির অভিযোগেই অনাস্থা জানায় তারই কয়েক অনুসারী।
ঘোষিত কমিটির সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ”উনাকে বাদ দিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মানেই তো উনার বিরুদ্ধে অনাস্থা জ্ঞাপন। কর্নেল অলি সাহেবের মতো একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে অকুণ্ঠ কণ্ঠে যেভাবে জামায়াতকে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, তার সঙ্গে আমাদের দ্বিমত আছে।”
তিনি বলেন, ”আমাদের গঠনতন্ত্রে এলডিপি সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসী।”
ঘোষিত কমিটির সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসী বলেন, ”উনার সঙ্গে কোনো জ্ঞানবান মানুষ, বুদ্ধিমান মানুষ, দেশপ্রেমী মানুষ রাজনীতি করতে পারবে না। আমার নিজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় দেখেছি, উনি নিজের স্বার্থ ছাড়া আর কোনো কিছু চিন্তা করেন না।”
জাতীয় প্রেসক্লাবে আরেক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত নতুন কমিটিকে অবৈধ বললেন অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি।
এলডিপি’র প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল (অব) অলি আহমেদ বলেন, "এলডিপি আমার নামেই আমি দরখাস্ত করেছি, এক নম্বর রাজনৈতিক নিবন্ধিত দল। সুতরাং এলডিপি তো অন্য কারো নেওয়ার কোনো আইনগত অধিকা কারো নেই। কারোর যদি নিজের বাবার নাম বাদ দিয়ে আমার নামে পরিচিত হতে চায়, আমার কোনো আপত্তি নেই।"
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে এলডিপি’র মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ”জামায়াতে ইসলামী দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ২০ দলীয় জোটের মধ্যে। তখন কি তারা আমাদের সাথে কাজ করে নাই? যে কোনো আন্দোলনের জন্য যে কোনো অঙ্গন থেকেই যে সমর্থন দেয়, তার সমর্থনটা নিতে হবে।”