খুচরা ও পাইকারী বাজারে আলুর দাম না থাকায় কেজি প্রতি পাঁচ থেকে সাত টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে চাষীদের।
রংপুর অঞ্চলের ৯৯টি হিমাগারে এখনো মজুদ কয়েক লাখ টন আলু। তবে, আলুর বাজারে দামে পড়ে যাওয়ায় লাভের আশায় মজুদ করা কৃষকের মাথায় হাত। বাজারে প্রতি কেজি আলু ১০ থেকে ১২টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ উৎপাদন ও সংরক্ষণ খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি আলুতে কৃষককে গুণতে হয়েছে ১৮টাকা।
এদিকে, হিমাগার মালিকরা প্রতিবস্তা আলুতে চাষীকে ৩শ' টাকা করে ঋণ দিয়েছিলেন। সাথে যুক্ত হয়েছে সংরক্ষণ ব্যয়। কিন্তু লোকসানের ভয়ে সংরক্ষিত আলু আর বের করছেন না চাষীরা। আবার দুইমাস পরেই খালি করতে হবে হিমাগার। এ অবস্থায় বিপাকে মালিকরা।
করোনায় দফায় দফায় বিধিনিষেধ আর হোটেল রেস্তোরাঁ ও রপ্তানি বন্ধ থাকায় হিমায়িত আলু বের হয়নি। ফলে বেড়েছে মজুদ। প্রভাব পড়েছে বাজার ব্যবস্থাপনায়। যদিও কর্তৃপক্ষ বলছে- মজুদ আলু ১০টি দেশে রপ্তানির চেষ্টা চলছে।
পাইকারী পর্যায়ে আলু দাম নির্ধারণ, বাজার নিয়ন্ত্রণ, শিল্প নির্ভর ও আলু রপ্তানিতে নজর দেওয়া না হলে আগামীতে উত্তরাঞ্চলে কমবে আলুর চাষ। যার দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে দেশের খাদ্য নিরাপত্তায়- এমন শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।