ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের করোনার নতুন স্টেইনে ইউরোপজুড়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। মহাদেশটিতে মৃত্যু প্রায় ১০ লাখ আর শনাক্ত সোয়া চার কোটি। এখনও দুই লাখের বেশি শনাক্ত ও প্রায় ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে প্রতিদিন।
গোটা পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনার একাধিক মিউটেটেড স্ট্রেইন। যা আছড়ে পড়েছে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি পোল্যান্ডসহ পুরো ইউরোপে।
এপ্রিল মাসে ফ্রান্সে আইসিইউ রোগী ভর্তি সর্বোচ্চ স্তর ছুঁয়েছে। দেশটিতে করোনায় একদিনে ৩১৩ জনসহ মোট মৃত্যু এক লাখ ছাড়িয়েছে। ইতালিতে একদিনে ৪শ ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ গড়ে ১৫ হাজারের বেশি। জার্মানির পরিস্থিতিও ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। দেশটিতে একদিনে প্রায় ২২ হাজার শনাক্ত আর ২৪৬ জনের প্রাণ গেছে।
এছাড়াও একদিনে পোল্যান্ডে একদিনে ৬শ' ১৬, ইউক্রেনে ৪শ' ৪০ এবং রাশিয়ায় ৩শ' ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ইউরোপে প্রতি সপ্তাহে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে অন্তত ১৬ লাখ মানুষ। গণটিকা প্রয়োগ শুরু হলেও পরিস্থিতি এখনো যথেষ্ট ভয়ের বলে উদ্বেগ জানিয়েছে সংস্থাটি।
তবে সংক্রমণ কমে আসায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা উপেক্ষা করেই এই সপ্তাহে লকডাউন শিথিল করেছে ব্রিটেন। আউটডোর ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট খুলে দিয়েছে সরকার। চালু হয়েছে জিম। তিন মাস পর খুলেছে চিড়িয়াখানা। ২৬শে এপ্রিল থেকে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে ইতালিও।