ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে কাল পাকিস্তানের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।
লড়াইটা শিরোপার জন্য হলেও বাড়তি চাপ নিতে চায় না টাইগাররা। পাকিস্তানের শক্তিশালী পেস অ্যাটাক নিয়েও দুশ্চিন্তা নেই ইমার্জিং টাইগারদের।
আর টুর্নামেন্টে দারুণ পারফরমেন্স দেখানো পাকিস্তানিরাও আত্মবিশ্বাসি শিরোপা জয় নিয়ে। মিরপুরে ম্যাচ শুরু হবে কাল সকাল নয়টায়।
সেমিফাইনাল আর ফাইনালের মাঝে বিরতি মোটে একদিন। সবাই খেলার মধ্যে আছেন, তাই বেশ ক’জনকে বিশ্রাম রেখেই শুক্রবার মিরপুরে চাম্পাকা রামানায়েকের ছেলেরা অনুশীলনে নামেন।
ভারত থেকে ফেরার পর বড় ইনিংস নেই নাইম শেখের, সে কারণেই একটু বেশি সিরিয়াস তিনি। শুক্রবার আগেভাগে অনুশীলন শুরু করেন টি-টোয়েন্টির নতুন এই তারকা।
শিরোপার লড়াইটা এখানে ৫০ ওভারের হলেও, প্রত্যাশা নাইমের কাছে বেশিই।
তবে দারুণ ফর্মে থাকা সৌম্য সরকারও হতে পারেন ম্যাচ উইনার।
ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটও কথা বলছে নিয়ম করে। ২৩৪ রানে টুর্নামেন্টের টপ স্কোরার। ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের মূল দুঃশ্চিন্তার কারণ হতে পারেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া শান্ত।
তবে ক্যাপ্টেনের সাফ কথা, গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কোনো বাড়তি চাপ নিতে চায় না বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, "শুধু নামটা যে ফাইনাল খেলা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার কাছে যেটা মনে হয় যে এটা কিন্তু আরেকটা ম্যাচ। তাই আমরা যেভাবে ম্যাচ খেলে আসছি প্রথম রাউন্ড বলেন, বা সেমিফাইনাল বলেন, ওইভাবেই নতুন একটা দিন নতুন একটা ম্যাচ খেলব।"
পাকিস্তানের পেস অ্যাটাকে নাস্তানাবুদ হয়েছে ভারত। বাংলাদেশের জন্য তাই অপেক্ষা করছে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ব্যাটসম্যানদের বড় ম্যাচ খেলার অভ্যাস থাকায় অসুবিধা দেখছেন না ইমার্জিং টাইগার ক্যাপ্টেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, "আসলে ওদের বোলিং অ্যাটাক খুবই ভালো। কিন্তু আমি মনে করি যে এগুলো নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত না হয়ে আমাদের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান যারাই আছে তারা বিপিএলসহ বিভিন্ন টপ লেভেল ক্রিকেট খেলেছে, সেখানে জোরে বল খেলেছে সুতরাং অভ্যাসটা আছে।"
নিজেদের শক্তির জায়গাটা জানে পাকিস্তানও। তাই ম্যাচটা জেতার ব্যাপারে দারুণ আত্মবিশ্বাসী ওরা।
পাকিস্তান ইমার্জিং দলের অধিনায়ক সৌদ শাকিল বলেন, "আমাদের বোলাররা বেশ ভালো করছে। বিশেষ করে হাসনাইন বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম বোলারদের একজন। তবে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে তাদের বিপক্ষে জেতা সহজ নয়। তবে নিজেদের পারফরমেন্স নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট এবং আত্মিবিশ্বাস।"
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ইমার্জিং দল এর আগে একবারই মুখোমুখি হয়। করাচিতে গেল বছরের ম্যাচটা ৮৪ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। তথ্যটা আশা জাগাতেই পারে।