ইরাকের পার্লামেন্ট নির্বাচনি আইন সংশোধন করে একটি বিল অনুমোদন করেছে।
একইসঙ্গে পার্লামেন্ট সদস্যরা ইরাকের নির্বাচন কমিশন ভেঙে দিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের অবসরে পাঠিয়েছে।
ইরাকের পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মাদ আল-হালবুসি নয়া নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে বলেন, বিচারপতিদের মধ্য থেকে লটারির ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেয়া হবে।
ইরাকের বেকার সমস্যা ও প্রশাসনে দুর্নীতির প্রতিবাদে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। পার্লামেন্টের এ পদক্ষেপের ফলে ইরাকে চলমান বিক্ষোভ প্রশমিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথমদিকে কিছু সামাজিক সমস্যা নিয়ে ইরাকে সরকার বিরোধী আন্দোলন হলেও ধীরে ধীরে তা রাজনৈতিক প্রতিবাদে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে একদল বিক্ষোভকারী নির্বাচনি আইন ও সংবিধান সংস্কারের আহ্বান জানায়। এমনকি কিছু মানুষ সরকারের পতনের দাবিতেও স্লোগান দিতে থাকে।
এ অবস্থায় ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া আলেম আয়াতুল্লাহ আলী সিস্তানি গত ২২ নভেম্বর সেদেশের নির্বাচনি আইন সংশোধন করার জন্য ইরাকি রাজনীতিবিদ ও আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাজধানী বাগদাদসহ দক্ষিণাঞ্চলের কিছু শহরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে সহিংস বিক্ষোভ চলছে একমাত্র নির্বাচনি আইন সংশোধনের মাধ্যমে তার অবসান ঘটানো যেতে পারে।
আয়াতুল্লাহ সিস্তানি বলেন, নির্বাচনি আইন ও নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত আইন সংশোধন করলে চলমান অচলাবস্থার অবসান হবে। তিনি বিক্ষোভকারীদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের প্রতিবাদ তুলে ধরতে এবং সব ধরনের নাশকতামূলক তৎপরতা পরিহার করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
৮৯ বছর বয়সি ইরাকের প্রভাবশালী আলেম আয়াতুল্লাহ সিস্তানিকে কখনো জনসম্মুখে দেখা যায়নি কিন্তু তারপরও দেশটির শিয়া মুসলমানদের মধ্যে তার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।