জাতীয়, অপরাধ

ইয়াবা কারবারে জড়াচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

রবিবার ৪ঠা এপ্রিল ২০২১ ০৯:০১:০৭ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

অতি মুনাফার লোভে ইয়াবা কারবারে জড়াচ্ছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। সীমান্ত থেকে মাদকসেবীর কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত দাম বাড়ছে ১৫ গুণ। একটি ইয়াবা বড়ির দাম ২০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ন্যূনতম ৩০০ টাকায়।

মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার- একটি ইয়াবা বড়ির দাম পড়ছে বিশ টাকা। তারপর হাত বদলের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দামও। মাদকসেবী পর্যায়ে একটি বড়ির দাম উঠছে অন্তত তিনশ টাকা। সাত ভাগ হয়ে যায় লাভের দুইশো আশি টাকা। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, অতি মুনাফার লোভে ইয়াবা কারবারে জড়াচ্ছে চাকরিজীবী, পরিবহণ শ্রমিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।

গর্জন তুলে সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে। অপার সৌন্দর্য্যের কক্সবাজার দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র, ইয়াবা কারবারের কেন্দ্রস্থলও।

মিয়ানমার থেকে নিয়মিত লাখ লাখ ইয়াবা বড়ির চালান আনছে কক্সবাজারের গডফাদাররা। সব খরচসহ একটি বড়ির দাম পড়ে ২০ টাকা। তারপর কক্সবাজারের বড় কারবারিদের কাছে প্রতিটি বড়ি ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। পরের ধাপে কারবারিদের কাছ থেকে একেকটি বড়ি ৬০-৬৫ টাকায় কেনে ঢাকার বড় ব্যবসায়ীরা। আরও চার দফা হাত বদলের পর প্রতিটি বড়ির দাম পৌঁছায় ২২০-২৫০ টাকায়। মাদকসেবী পর্যায়ে একটি ইয়াবা বড়ির দাম পড়ে ন্যূনতম তিনশ টাকা। সাত ভাগ হয়ে যায় লাভের ২৮০ টাকা।

লোভে পড়ে ইয়াবা বহনে জড়িয়ে পড়েছে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলাচলকারী পরিবহণ শ্রমিকদের অনেকে। ঢাকায় চালান পৌঁছানোর পথে প্রায়ই ধরা পড়ছে তারা। তবুও রাশ টানা যাচ্ছে না।

পুলিশ বলছে, কেবল পরিবহণ শ্রমিকই নয়, কক্সবাজারে নিয়মিত যাতায়াতকারী বিভিন্ন পেশাজীবীরাও ইয়াবা কারবারে জড়িত।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (উত্তরা) অতিরিক্ত উপ কমিশনার বদরুজ্জামান জিল্লু বলেন, কক্সবাজার এলাকায় যারা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে সেটা পরিবহন শ্রমিক হোক বা যেকোন চাকরিজীবি হোক তারাই এই ফাঁদে পা দেয়। একবার যারা এই ফাঁদে পা দেয় তারাই নিয়মিত হয়ে যায় এই ব্যবসায় অধিক লাভের আশায়।

ইয়াবা বাহকেরা ধরা পড়লেও গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে কদাচিৎ।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, যার কাছ থেকে এগুলো উদ্ধার করা হচ্ছে আইনে সেই মুল আসামি। কার মাধ্যমে সে এগুলো আনলো তা প্রমাণ আইনগতভাবে খুবই জটিল। যারা প্রকৃত ব্যবসায়ী তারা মূলত ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থাকে।

পুলিশ বলছে, ইয়াবা কারবারে সত্যিকার আঘাত হানতে সীমান্তের ফাঁক-ফোকর বন্ধ করার বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন