শনিবার এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ডেভিস শহরের হারপার জুনিয়র হাই-স্কুলের অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী বিজয়মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক সাবা'র সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. মেশকাত উদ্দিনের আহ্বানে শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সাবা'র প্রেসিডেন্ট হাফিজুর চৌধুরী সোহেল। শুভেচ্ছা বক্তব্যের পরপরই সাবা প্রেসিডেন্ট বিজয় মেলা উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. সৈয়দা কবির তুলি এবং সাধারণ সম্পাদক তাসনিম আসলাম মিতু।

বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। সঙ্গীত, আবৃতি, নাটক এবং নৃত্যের তালে সাজানো হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ এতে অংশগ্রহণ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জমকালো মঞ্চ পরিকল্পনার সমন্বয় করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক তাসনিম আসলাম মিতু। বিজয় মেলায় স্থানীয় অধিবাসীগণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা, ফুচকা, বিরিয়ানি, মিষ্টি, শাড়ি, গহনা এবং অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে স্টল পরিবেশন করেন। এই বিজয়মেলার সমন্বয়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. সৈয়দা কবির তুলি।

এদিকে, সুবর্ণ জয়ন্তীর বিজয়মেলার এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্দিন ফ্যামিলি ফান্ড (ইউএফএফ) এর আর্থিক সহযোগীতায় প্রতিবছর বৃহত্তর সেক্রামেন্টো অঞ্চলে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মাঝে কমিউনিটির কাজের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সাবা'র সাথে যৌথ ভাবে সম্মাননা প্রদান করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়।

এছাড়াও, অনুষ্ঠানে দীর্ঘদিনযাবত কমিউনিটির বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত থেকে সেবা প্রদান করার জন্য মোহাম্মদ বিল্লাহ রানাকে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। সাবা'র বর্তমান সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. মেশকাত উদ্দিন এবং ডা. পারভীন এর পারিবারিক উদ্যোগে এই বিশেষ আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হয়।

মহামারির এই সময়ে সশরীরে এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে সংগঠনটি প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে বেশ সাড়া পায়। প্রায় দুই বছর পরে সবাই একত্রিত হতে পেরে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটিকে প্রবাসীগণ আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানায়।