তথ্য বিভ্রাটের কারণে কানাডার উদ্দেশে রওনা হয়ে শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ের ট্রানজিট থেকে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন বেশকিছু বাংলাদেশি।
এমিরেটস এয়ারলাইন্সের তথ্য বিভ্রাটের কারণে কানাডার উদ্দেশে রওনা হয়ে শেষ পর্যন্ত দুবাইয়ের ট্রানজিট থেকে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন কানাডাপ্রবাসী বেশকিছু বাংলাদেশি। তাদের অভিযোগ, এ কারণে তিন দিন ধরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন তারা।
গেল ৮ই আগস্ট এয়ার এমিরেটসের ইকে ৫৮৩ ফ্লাইটে সন্ধ্যা সাতটায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কানাডার উদ্দেশে রওনা হন কানাডাপ্রবাসী শিক্ষার্থী অন্তরা সরকার। দুবাইয়ে পৌছে ট্রানজিট শেষে ফ্লাইটে ওঠার আগ মুহূর্তে এয়ার এমিরেটস কর্তৃপক্ষ তাকে জানায় চাকরির কাগজপত্র না থাকায় তাকে কানাডা যেতে দেয়া হবে না। অথচ কানাডার হাই কমিশনের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুসারে বৈধ ওয়ার্ক পারমিট থাকলেই যে কেউ ফিরতে পারবে কানাডায়।
অন্তরা সরকার বলেন, আমি যখন ওইখানে যাওয়ার পর যখন ফ্লাইট বোর্ড করতে নি তখন তারা মাকে বলে জব লেটার লাগবে, ওয়ার্ক পারমিট থাকলে হবে না। এতে আমার সময়, অর্থ দুটোই অপচয় হয়েছে।
এমিরেটসের ঢাকা অফিস থেকে কোনও সমস্যা নেই জানিয়ে ক্লিয়ারেন্স দিলেও তাদের দুবাই অফিস আটকে দিয়েছে এমন আরো অনেককেই। মাঝপথ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে যাত্রীদের। যাত্রীদের অভিযোগ এমিরেটস কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণেই দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে তাদের।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা বলেন, তারা যদি আমাদের কোন সমস্যা পেত তাহলে ঢাকা থেকেই আমাদের বলে দিত। দুইদিন দুবাইয়ে রেখে তার বলছে আমরা যেতে পারবো না। তারা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। তারা আমাদের সমস্যার কথা না বলে পরস্পরকে দোষারোপ করছে।
অন্যদিকে, করোনা পরীক্ষাসহ যাবতীয় নিয়ম মেনেও মাঝপথ থেকে দেশে ফেরার ঘটনায় ক্ষুব্ধ যাত্রীদের স্বজনরাও। তারা বলেন, এই ম্যানটেইনেন্সগুলো এমিরেটসের ঢাকা অফিস থেকেই করতে পারতো। তারা এই অফিস থেকে ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে অথচ দুবাই অফিস বলছে তারা কিছু জানে না।
করোনাকালে এয়ারলাইন্সগুলোর অব্যবস্থাপনার কারণে প্রায়ই হয়রানি শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। এ ধরনেল দুর্ভোগ নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেযার দাবি ভুক্তভোগী যাত্রীদের।
পে-অফ।