এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আবার বার্ড ফ্লুর ছড়াচ্ছে। অতিসংক্রামক এই ইনফ্লুয়েঞ্জার বিস্তারে বিশ্বজুড়ে পোল্ট্রি শিল্পকে নতুন শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন দেশে পাখি, হাঁস মুরগিকে হত্যা করা হয়েছে। বিশ্ব প্রাণি স্বাস্থ্য সংস্থা বার্ড ফ্লু'র দ্রুত বিস্তারে সতর্ক করেছে।
চলতি বছরে চীনে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার অতিসংক্রামক এইচ-ফাইভ-এন-সিক্স ধরনটি ২১ জন মানুষের শরীরে শনাক্ত হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এই ভাইরাসটি পাখি থেকেই মানুষের দেহে ছড়ায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি শহরে প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার মুরগির একটি খামারে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে, বলে বিশ্ব প্রাণি স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানায় দেশটি। ওই খামারের সব মুরগিকে মেরে ফেলা হয়েছে।
জাপানের কৃষি মন্ত্রণালয় গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির উত্তর-পূর্বের একটি পোল্ট্রি ফার্মে পাওয়া গেছে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব।
ওআইই বলেছে, বার্ড ফ্লু নরওয়ের রোগাল্যান্ড অঞ্চলে শনাক্ত হয়েছে। সেখানকার ৭ হাজার মুরগির একটি খামারে ভাইরাস ধরা পড়ে। এরইমধ্যে বেলজিয়াম সরকার দেশটিকে বার্ড ফ্লুর উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ঘোষণা করেছে।
গত এক মাসে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসেও বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে শনাক্ত হয়েছে এ ভাইরাস।
এ ধরনের ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সাধারণত শরৎকালে ঘটে। বুনো অতিথি পাখিদের মাধ্যমে ছড়ায় এ ভাইরাস। হাঁস, মুরগি বা অন্য কোনো পাখির মাংস খাওয়ার মাধ্যমে বার্ড ফ্লু মানুষের মধ্যেও ছড়াতে পারে।
অতীতে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় লাখ লাখ পাখি, হাঁস ও মুরগিকে মেরে ফেলা হয়। বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবের কারণে পোল্ট্রি শিল্পের বাণিজ্যে ক্ষতির আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।