কক্সবাজারে গিয়ে অস্বস্তিতে পর্যটকরা হোটেলে জায়গা না পেয়ে বাসে-সৈকতে রাত পার। পকেট কাটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
কিছুটা স্বস্তিতে সময় কাটাতে কক্সবাজারে এসে নানাভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন পর্যটকরা। ঘুরতে এসে তারা পড়ছেন এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির মধ্যে। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী পর্যটকদের কাছ থেকে আদায় করছেন অতিরিক্ত অর্থ। হোটেলে-মোটেলে জায়গা না পেয়ে বাস আর উন্মুক্ত জায়গায় রাত কাটিয়ে ভ্রমণ সংক্ষিপ্ত করে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই।
শুক্র ও শনিবারের সাথে একুশে ফেব্রুয়ারির ছুটি যোগ হওয়ায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারে এখন মানুষের ঢল। হোটেল-মোটেল আর রিসোর্টের সংখ্যা সাড়ে চারশর কিছু বেশি। যেখানে সর্বোচ্চ দুই লাখ মানুষ রাত যাপন করতে পারে।
কিন্তু টানা ৩ দিনের ছুটি উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন চার লাখের বেশি পর্যটক। এ অবস্থায় থাকার জায়গা পাচ্ছেন না অর্ধেকের বেশি মানুষ। অনেকেই সৈকত, বাস ও পার্কিং লটে রাত কাটিয়ে পর্যটন নগরী ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
আর যারা থাকার জায়গা পেয়েছেন তাদের গুনতে হচ্ছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি টাকা। পর্যকটরা জানান, রুম না পেয়ে অনেকে চারদিনের ছুটি দুইদিন কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। যে রুমের ভাড়া এক থেকে দুই হাজার টাকা ছিল তার ভাড়া এখন আমাদের কাছে চাচ্ছে দশ হাজার টাকা।
তবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের জন্য দালালচক্র ও এক শ্রেণির অসাধু হোটেল মালিকদের দুষছেন অনেকে।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, যারা আগে রুম বুকিং দিয়েছে তাদের রুমও কিছু অসাধু ব্যবসায়ি অন্যদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে দিয়েছে। পর্যটকদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তারা এসব কাজ করছে।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে সাথে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক শাকের আহমদ। তিনি বলেন, যদি কোন পর্যটক আমাদেরকে অভিযোগ দেয় যে তারা হয়রানির স্বীকার হচ্ছে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়া মোবাইল কোর্টের মাধ্যমেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আর পর্যটকের ঢল ও ভোগান্তির কারণে মিলিয়ে গেছে করোনা আতঙ্ক। সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা বেশির ভাগ পর্যটকই ভুলে গেছেন মাস্ক পরার কথা।