প্রবাসীদের তেমন চাপ না থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যের রুটগুলোর বিমান ভাড়া কমেনি। অগ্রীম টিকিটের তারিখ পরিবর্তন করতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। এসবের পাশাপাশি টিকিট সংকটের কথাও বলছেন রেমিটেন্স যোদ্ধারা।সিন্ডিকেট বানিজ্যের কারণেই এমন হচ্ছে বলে অভিযোগ ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর।
এদিকে, বেসরকারী বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানান, বিমানের টিকিটের চাহিদা এখন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হঠাৎ করে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। তাই এখন চাপটা হঠাৎ করে পড়েছে।
কিন্তু চাহিদা কমলেই ভাড়া কমবে বিমানপ্রতিমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের মিল নেই বাস্তবে, বলছেন প্রবাসীরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে টিকিটের চাহিদা আগের থেকে কমেছে। কিন্তু বাড়তি ভাড়া নিয়ে কোন সমাধান পাননি মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীরা।
ভিসার মেয়াদ শেষ হবে এই ভেবে বাড়তি টাকা দিয়েও মিলছে না বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট। হঠাৎ করে ভাড়া নিয়ে এমন পরিস্থিতিতে হতাশ প্রবাসীরা। সেই সাথে যোগ হয়েছে অগ্রীম টিকিটের তারিখ পরিবর্তনের ফি।
আটাবের সদস্য এম শাহাদাত হোসেন হোসাইন তসলিম জানান, টিকিটের সমস্যা সমাধান নিজেদের কাছে নেই, কারণ দাম নির্ধারন করে এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, 'টিকিটের দাম আগে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা ছিলো, সেটাকে এখন এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়ে গেছে। সবগুলো এয়ারলাইন্স কিন্তু একই মাত্রায় ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। অর্থাৎ মনে হয় এয়ারলাইন্সগুলো যেন ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় সিন্ডিকেট করছে। বিমান চলাচল কতৃপক্ষ কে আমরা পত্র দিয়েছি। এবং বিমানের আরও বেশি ফ্লাইট প্রদানের জন্য তাদের কে অনুরোধ করেছি।'
গ্লোবাল এয়ার ট্রাভেল এক্সপ্রেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেরিন আকন্দ বলেন, 'এখানে ভাড়া বেশি বা কম রাখা আমাদের হাতে নেই। এটা এয়ারলাইন্সের হাতে। আমার মনে হয়, কম ভাড়ার টিকিটগুলো তারা
আগেই সব লক করে রাখে। যার কারনে আমরা কম ভাড়ার টিকিটগুলো পাইনা।'
এছাড়াও, টিকিট ক্রয় সংক্রান্ত কোন তথ্য দিয়ে অফিস থেকে সহযোগীতা করছে না বলে অভিযোগ করেন অনেকেই।