করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা দেশে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় কৃষিজাত পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উৎপাদনকারীরা। পটুয়াখালীতে ক্রেতার অভাবে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার তরমুজ।
এ বছর পটুয়াখালীর ৮ উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। দেশের তরমুজের চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ হয় এখান থেকে। ভালো স্বাদের পাশাপাশি আকারে বড় হওয়ায় এখানকার তরমুজের চাহিদা রয়েছে দেশুড়ে। এবার আবহাওয়ার পাশাপাশি সব কিছু অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে।
কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে তরমুজ পাঠাতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। ট্রলার ও ট্রাকে সীমিতভাবে তরমুজ পাঠানো শুরু হলেও ভাড়া লাগছে কয়েকগুণ বেশি।
তবে কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হৃদয়েশ্বর দত্ত বলেন, আমরা তরমুজ চাষীর সাথে ব্যবসায়ীদের একটা সংযুক্তির ব্যবস্থা করেছি যাতে করে যে সমস্ত তরমুজ উত্তলন করা হচ্ছে সেগুলো বিক্রি করতে পারে।
এদিকে, করোনার প্রভাব পড়েছে নরসিংদীর পাইকারী সবজির বাজারগুলোতেও। সরবরাহ থাকলেও নেই ত্রেতা। ফলে সবজি বাজারে নিয়ে বিপাকে পড়ছেন কৃষকরা। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৫ টাকায়। অন্যান্য সবজিও বিক্রি হচ্ছে উৎপাদন খরচের চেয়ে কমে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারি সহায়তা চাইছেন কৃষকরা।
নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন জানান, কৃষি বিভাগে কর্মকর্তাকে আমি বলেছি, দুই এক দিনের মধ্যে সার্বিক বিষয় সম্পর্কে সে আমাকে জানাবে। সেই তথ্য পর্যালোচনা করে কৃষকদের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলতি মৌসুমে নরসিংদীর ৬ উপজেলায় তিন হাজার ৪০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদ হয়েছে।