হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু। আর এ জন্য মূলত অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি না মানাকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা।
শিশু করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ায় হাসপাতাল গুলোতে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। এ অবস্থায় করোনা থেকে শিশুদের রক্ষায় অভিভাবকদের সর্তক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত ছয় বছরের শিশু লিজা, গত তিন মাস ধরেই আছে রাজধানীর শিশু হাসপাতালে। সপ্তাহখানেক আগে জ্বর দেখা দিলে পরীক্ষায় করে করোনা ধরা পড়ে তার।
নানা রোগে চিকিৎসা নিতে আসা আরো অনেক শিশুই হাসপাতালে এসেই করোনা আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়। শুধু তাই নয়। অনেক শিশুও আক্রান্ত হচ্ছে অভিভাবকদের অচেতনতায়।
গতবছর করোনায় শিশুদের আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও এবারে তা বেড়েছে বহুগণ। ফলে হাসপাতে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট।
চিকিৎসকরা জানান, করোনার এই ঢেউয়ে এমনিতেই হাসপাতালের শয্যা পরিপূর্ণ ছিল, গত এক সপ্তাহে এটা আরো বেড়েছে।
শিশুদের করোনা আক্রান্তের জন্য মূলত অভিভাবকদের উদাসীনতাকেই দুষছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুল আহসান বলেন, "টিকা নেয়ার পর অনেকেই আমরা উদাসীন ভাবে চলছি। তবে বার বার কিন্তু স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে বলা হচ্ছে। এমন উদাসীনতার ফলে আমাদের শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। কভিড আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে আগের উপসর্গগুলো যেমন- জ্বর,কাশি এগুলো কিন্তু পাল্টে গেছে। এখন ডায়রিয়া, বমি এ ধরনের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।"
সংকট মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসরা তাগিদ দিচ্ছেন সব হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসার সুযোগ নিশ্চিত করার।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, "বড়রা বাইরে থেকে এসে কখনোই বাচ্চাকে কোলে নেবেন না বা আদর করবেন না। মায়ের দুধ খাওয়া বাচ্চাদের কোনো মায়ের যদি করোনা সংক্রমণ হয় হবে ভালভাবে মাস্ক পরে, হাত ভালভাবে ধুয়ে নেবেন। পরিধেয় কাপড়টা পরিষ্কার থাকবে, বাচ্চার নাক ঢেকে রাখা যেতে পারে।"
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত একবছরে দেশে করোনায় মারা গেছে ৪০ জন শিশু।