করোনায় ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন দেশের বিনোদন পার্কগুলোর ১৫ হাজারেরও বেশি শ্রমিক। অন্যদিকে ব্যবসা বন্ধে, অনিশ্চয়তায় পড়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে গড়ে ওঠা এ খাত।
গত দুই ঈদ, পহেলা বৈশাখসহ উৎসবের সব উপলক্ষ্যেই বন্ধ ছিলো বিনোদনকেন্দ্র। উদ্যোক্তারা বলছেন, এখন শেষ ভরসা- সামনের ঈদ। তা না হলে, অর্ধেক বিনোদনকেন্দ্রই গুটিয়ে ফেলতে হবে।
দেশজুড়ে বেসরকারিখাতের প্রায় শতাধিক বিনোদন কেন্দ্র। করোনায় বন্ধ সবগুলোই। আর এতে দুই ধরণের বিপাকে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। একদিকে আয় নেই। আরেক দিকে রাইড সচল রাখতে টাকা খরচ হচ্ছে।
তথ্য উপাত্ত বলছে, এ খাতে কাজ করতেন প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক কর্মচারি। অর্ধেকেরও বেশি মানুষের এখন চাকরি নেই।
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব এমিউজম্যান্ট পার্ক অ্যান্ড এট্রাকশনের হিসাব বলছে, ছোট আকারের বিনোদন পার্ক স্থাপনে অন্তত ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ দরকার। এর চেয়ে বড় হলে, পুঁজি হতে হবে ন্যূনতম ৫০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকা। কিন্তু এ বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ অলস পড়ে আছে বছরের বেশি সময় ধরে।
লোকসান সামলাতে না পেরে বন্ধ হয়ে গেছে ৩০ শতাংশেরও বেশি পার্ক। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব অ্যামিউজমেন্ট পার্ক অ্যান্ড এট্রাকশন এর সমন্বয়ক অনুপ কুমার সরকার বলেন, "বন্ধ থাকার জন্য পুরো বিনিয়োগ হুমকির মধ্য পড়ে যায়। ২০-৩০ শতাংশ পার্ক বসে গেছে। এই ঈদেও ব্যবসা না হলে আরো ১০-২০ শতাংশ চলে যাবে। এতে চাকরি হারাবেন অনেকেই।"
কয়েক দফা প্রনোদনা বাস্তবায়নাধীন থাকলেও, এখন পর্যন্ত সে সুবিধাও পাননি এখাতের কেউই।