বিউটি বোর্ডিংয়ের রুম ভাড়া বন্ধ, আংশিক খুলেছে রেঁস্তোরা। ভাইরাস সতর্কতায় আসছেন না কবি-সাহিত্যিক, জমছে না আড্ডা।
ইতিহাসের অজস্র বাঁক বদলের সাক্ষী বিউটি বোর্ডিংকে সংকটে ফেলেছে করোনাভাইরাস। নগর ঢাকার পরিবর্তনে, এখানে আগেই কমেছে কবি সাহিত্যিকদের আড্ডা। মহমারীতে এখন তা প্রায় বন্ধ। তবে আবারও তুমুল আড্ডায় প্রাণ ফিরবে, এমন প্রত্যাশায় সংকট শেষ হবার অপেক্ষায় পুরান ঢাকার বিউটি বোর্ডিং।
চার মাসেরও বেশি সময় পর বন্ধ ঘরের জানলা খুললো। কিন্তু তাতে মন্দা সময়ের ছায়া কাটেনি। বিউটি বোর্ডিংয়ের ২৫ কক্ষের সবকটিতে তালা ঝুলিয়েছে করোনা সংকট।
রেঁস্তোরার মেনু থেকে সকাল বিকেলের নাশতা বাতিল হয়েছে বহুদিন। শুধু মিলছে দুপুরের খাবার। বয়সী বিউটি বোর্ডিংয়ের বাকি নিস্তব্ধতা জুড়ে ৭১ বছরের ঐতিহ্য আর পুরোনো দিনের জমজমাট সময়ের চিত্র।
করোনার দমবন্ধ সময়েও, সুখস্মৃতির খোঁজে কেউ কেউ আসেন। বর্তমানের বিউটি বোর্ডিংয়ের ক্যানভাসে, রোমন্থন করেন অতীতের গল্প।
বিউটি বোর্ডিংয়ের অস্তিত্বজুড়ে পূর্বসুরীদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্যের ভাগ নিতে আসেন বর্তমানের প্রজন্মও। ঝকমকে নগর বিনোদনে হাঁপিয়ে ওঠা সময় থেকে একটুখানি পালানোর সুযোগ করে দেয় প্রাচীন বিউটি বোর্ডিং।
এর বাইরে আর কোন কোলাহল নেই। অথচ এখানটা মুখর থাকতো, কবিদের ভিড়ে। কবিতার খসড়া, সাহিত্যের প্লট আর স্বদেশ রাজনীতির বিশুদ্ধ চর্চার বিউটি বোর্ডিংয়ের এখন বিষন্ন অবসর।
করোনাবিহীন সময়ে আবারও আড্ডা জমবে প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিকের, উঠতি কবির। ঝলমলে অতীতের গাঁ থেকে বিবর্ন বর্তমানের চাঁদর সরিয়ে, মসৃন ভবিষ্যতের প্রতীক্ষায় এখন বিউটি বোর্ডিং।