জাতীয়, স্বাস্থ্য, নারী

করোনায় ব্যাহত মাতৃস্বাস্থ্যসেবা, বাড়িতে বেড়েছে প্রসব

তাহসিনা জেসি 

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১০ই জুলাই ২০২০ ০৮:৩৫:০৯ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

করোনার প্রার্দূভাবে প্রসুতিদের ঠিকমতো সেবা দিতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা।

এমনিতেই দেশের পরিবার পরিকল্পনা নানা সমস্যায় জর্জরিত তার উপর করোনা পরিস্থিতির কারণে তা আরো ব্যাহত হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে মাতৃস্বাস্থ্যের ওপর। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে প্রসবের হার যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে প্রসুতিদের খিঁচুনি ও প্রসব পরবর্তী রক্তক্ষরণের মতো সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার সময়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে মানুষকে পরিবার পরিকল্পনা সেবা দিতে হবে।

আগে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নারী ও প্রসুতিদের স্বাস্থ্যসেবা পরামর্শ দিলেও এখন করোনার প্রার্দূভাবে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না স্বাস্থ্যকর্মীরা।

২০১১ সালের স্বাস্থ্য ও জনমিতি জরিপ বলছে, দীর্ঘদিন ধরে মোট প্রজনন হার ২ দশমিক ৩ এ স্থির রয়েছে। গত ৫ বছরে দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার ৬৩ দশমিক ১ থেকে সামান্য বেড়ে ৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহারের হার বাড়লেও কমেছে স্থায়ী পদ্ধতি ব্যবহার। পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের এমন স্থবিরতায় করোনা মহামারী পরিস্থিতিকে আরো বিরূপ করে তুলেছে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংখ্যা বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, যারা আমরা সেবা গ্রহণ করি আর যারা সেবা প্রদান করছে এই মহামারির কারণে তারা ঠিকমত সেবা দিতেও পাচ্ছে না ,নিতেও পাচ্ছে না। তবে বিদ্যমান যে সেবাগুলো আছে আমাদের উচিত সেগুলা অব্যাহত রাখা।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, মহামারীর আগে ৫০ ভাগ প্রসব হতো বাড়িতে, এখন তা বেড়ে ৭৩ ভাগে ঠেকেছে। ফলে খিঁচুনি, রক্তক্ষরণ ও ফিস্টুলার মতো প্রসবকালীন জটিলতাগুলো বাড়ছে। 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, বাড়িতে প্রসব ২৩ শতাংশ বেড়েছে। প্রসব যদি বিলম্বিত হয় তাহলে ফিস্টুলা রোগটি আবার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এখন যেহেতু শারীরিকভাবে আমরা যেতে পারবো না, তাই আমাদের ডিজিটাল মাধ্যমে যেতে হবে।

জনবল সঙ্কট, সেবাসামগ্রী সরবরাহ ব্যহত হওয়া, সেবা নেয়ার চাহিদা ও সেবা ব্যবহারের সুযোগ কমে যাওয়ায় প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় এ সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন তারা।

আরও পড়ুন