গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, খুলনা ও সাতক্ষীরায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ করোনা রোগীর মৃত্যু।
সীমান্ত জেলাগুলোয় করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও খুলনায় করোনা শনাক্তের হার কিছুটা কমলেও বাড়ছে বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও যশোরে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, খুলনা ও সাতক্ষীরায় হাসপাতালে মারা গেছেন ২১ জন। এদিকে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্তসহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে লকডাউন ও কঠোর বিধিনিষেধ। তবে, সাধারণ জনগণের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কম লক্ষ্য করা গেছে।
খুলনায় গেল ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৩জন। এদের মধ্যে খুলনার ৩ জন, বাগেরহাটের ৩ জন, যশোরের দু'জন এবং একজন ঝিনাইদহের। করোনা সংক্রমণের হার গতকালের চেয়ে কমে ২৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ থাকলেও তা চলছে ঢিলেঢালাভাবে।
বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের হার ৬২ শতাংশ। সংক্রমণ এড়াতে মোংলা পৌর এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ওয়ার্ডে মারা গেছে ৪ জন। এদিকে সংক্রমণের হার ৬০ শতাংশ। সংক্রমণ এড়াতে জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন জেলাবাসী।
সীমান্তবর্তী জেলা যশোরে শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ শতাংশে। এদিকে সংক্রমণ এড়াতে বুধবার মধ্যরাত থেকে যশোর ও অভয়নগর পৌরসভায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের ৪ জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। বাকিদের কোভিড-১৯ এর উপসর্গ ছিল। এরমধ্যে ৫ জন রাজশাহীর, ৩ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জের। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানায়, জেলায় শনাক্তের হার কিছুটা কমলেও ৪০ শতাংশের ওপরে রয়েছে।
অন্যদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার কমে হয়েছে ১৬ দশমিক এক ছয় শতাংশ। জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো ঢিলেঢালাভাবে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ।
নাটোরেও করোনা সংক্রমণের হার কমছে। শনাক্তের হার ২৬ শতাংশ। যা গত এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন। সংক্রমণ ঠেকাতে নাটোর ও সিংড়া পৌরসভায় ভোর ছয়টা থেকে সাতদিনের লকডাউন চলছে। নিত্যপণ্যের দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব দোকানপাট শপিংমল ও যানবাহন।
করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় সীমান্ত জেলা জয়পুরহাটে চলমান বিধিনিষেধ আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। বিকেল ৫টার পর থেকে বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলার জন্য মাঠে কাজ করছেন জেলা পুলিশ ও প্রশাসন।