বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণে মারা গেছেন বহু প্রাজ্ঞ মানুষ। বাংলাদেশেও করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন শিল্প-সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকে। এভাবে তাদের চলে যাওয়া দেশের জন্য বড় ক্ষতি, বলে মনে করেন অনেকে।
করোনা আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ১৪ মে মৃত্যুবরণ করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। গবেষক, চিন্তক ও বরেণ্য এই শিক্ষাবিদের মৃত্যু বাংলাদেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, চলতি বছর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান সুফি গবেষক ও সংগীতজ্ঞ খায়ের সামাদি, শিক্ষাবিদ নীলুফার মঞ্জুর, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষাবিদ সাজেদুল আউয়াল, নির্মাতা মাসুদ কায়ানাত ও অধ্যাপক ড. গালিব আহসান খানের মতো দার্শনিকরা।
করোনা কেড়ে নিয়েছে ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, জানে আলম, মিতা হক ও ফরিদ আহমেদের মত সংগীতজ্ঞদেরও।
অন্যদিকে, করোনার শিকার হয়ে মারা গেছেন হাসান শাহরিয়ার, হুমায়ুন কবির, মাহমুদুল হাকিম, আসলাম রহমানসহ দেশের অনেক সাংবাদিক।
কয়েকদিন আগে মারা গেছেন বাংলা একাডেমির সভাপতি শামসুজ্জামান খান। লোকশিল্পের এই প্রাজ্ঞ গবেষকের মৃত্যু সাহিত্য ও সংস্কৃতি গবেষণার ক্ষেত্রে বড় ক্ষতি বলে মনে করেন তার সহকর্মীরা।
আর খুবই সম্প্রতি এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের কাছে পরাজয় ঘটলো বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনয়শিল্পী সারাহ বেগম কররী।
করোনার কারণে দেশের শিল্প ও সংস্কৃতি অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণীয় নয়- বলে মনে করেন বিদগ্ধজনেরা।