করোনায় বিশ্বের ৭০ ভাগ তরুণদের শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত: আইএলও।
করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তরুণদের শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। বিশ্বের ৭০ ভাগ তরুণদের শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে করোনার থাবায়। সেই সঙ্গে তাদের মানসিক অবস্থারও অবনতি হচ্ছে। এছাড়া করোনা মহামারির কারণে প্রতি ছয়জনের একজন তরুণ কাজ হারিয়েছেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
করোনা হানা দিয়েছে তরুণদের শিক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্রেও। গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানের করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই সবার প্রথমে বন্ধ করে দেয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভাইরাসটি ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বের অন্য দেশগুলোও একই পথ অনুসরণ করে।
চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাস জুড়ে চলা গবেষণায় দেখা গেছে, মহামারির কারণে প্রতি ছয়জনের একজন তরুণ কাজ হারিয়েছেন। আর ৪২ ভাগ তরুণদের আয় গেছে কমে। শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্র দুই জায়গাতে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে।
মাসের পর মাস শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ থাকায় বর্তমানে ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্বের ৭০ ভাগ তরুণ। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার গবেষণা বলছে, করোনার কারণে অনলাইনে ক্লাস শুরুর পর ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থীর শিক্ষাকার্যক্রমে অংশগ্রহণ কমে গেছে।
করোনার কারণে চরম ডিজিটাল বিভাজনের মুখোমুখি বিভিন্ন দেশের তরুণরা। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে স্বল্পোন্নত দেশের তরুণরা। ইন্টারনেট সংযোগ, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জায়গা স্বল্পতার কারণে ঠিকভাবে ক্লাস ও কাজ করতে পারছেন না তারা।
উন্নত বিশ্বের ৬৫ ভাগ তরুণ ভিডিও কলে ক্লাস করতে পারলেও স্বল্পোন্নত দেশে তা ১৮ ভাগ। বিশ্বের ৩৮ ভাগ তরুণ এখন চিন্তিত তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে। এসব কারণে সংকটের মুখে পড়বে ভবিষ্যৎ শ্রমবাজার।
বিশ্বের ১১২টি দেশের ১২ হাজারের বেশি তরুণদের ওপর আইএলও'র চালানো গবেষণায় শিক্ষাকার্যক্রম, কর্মক্ষেত্র ও মানসিক স্বাস্থ্য চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার চিত্রটি ফুটে ওঠে। তবে চরম এই সংকট কাটাতে কাজ হারানোদের শ্রমবাজারে প্রবেশ করানো, বেকারদের ইন্স্যুরেন্স সুবিধা ও তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলছে সংস্থাটি।