পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের কারণে রাজধানীর শ্যামপুরে কারখানার বর্জ্যমিশ্রিত পানিতে তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টি হলে মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।
এই সমস্যা নিত্যদিনের। রাসায়নিক বর্জ্যের দূষিত পানি পার হয়েই এই এলাকার মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। রাজধানীর শ্যামপুর এমনিতেই দুর্ভোগের এলাকা। নতুন করে এই সমস্যায় ত্যক্ত-বিরক্ত এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, এখানে যারা কাজ করেন তারাও চেষ্টা করেন এর কোনো সমাধান আনতে পারছেন না। এ কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এখানকার মানুষ। এই পানিই বাসাবাড়িতে প্রবেশ করে। ছেলেমেয়েরা স্কুলেও যেতে পারে না।
পদ্মাসেতুর মূল রেললাইনের সাথে শ্যামপুর থেকে সংযোগ লাইন নির্মাণের ফলে শিল্পকারখানার বর্জ্য বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ। এছাড়া কারখানাগুলোর পরিশোধন কেন্দ্রও নেই। এসব দেখতে সরেজমিনে পরিদর্শনে যান রেলপথমন্ত্রী এবং ঢাকা দক্ষিণের মেয়র। এসময় তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। কথা বলেন নিজেদের মধ্যে এবং কথা শোনেন এলাকাবাসীর।
এলাকা ঘুরে দেখার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। এসময় তিনি বলেন, 'আমি যেন এই জলাবদ্ধতার কোনো কারণ না হই তার জন্য যা যা করা দরকার তা আমি করব। রেললাইনের কারণে এ রকম ঘটনা ঘটে থাকলে আমরা এর জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, 'আমরা এই বিষয়টি সমন্বয় করে সমাধান করব। এই সমস্যা সমাধানের জন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে আমরা একটি দীর্ঘ মেয়াদী সমাধানে আসতে পারব। আমরা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও আলোচনা করব, যেন কারখানাগুলো এসব বর্জ্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংরক্ষণ করে। এতেও যদি কোনো কাজ না হয় তাহলে আমরা তাদের ট্রেড লাইসেন্স বন্ধ করে দেব এবং তাদের কারখানা বন্ধ করতে আমরা বাধ্য হবো।'
এক সপ্তাহ পর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই ব্যক্তি আবার মিলিত হবেন শ্যামপুরের এমন সংকট নিয়ে।