করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কুষ্টিয়াকে চিহ্নিত করেছে রেড জোন হিসেবে। এজন্য দেয়া হয়েছে বিধিনিষেধ। তবে, সরকারি এ বিধিনিষেধ মানছেন না বেশিরভাগ মানুষ, উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। এখনই সচেতন না হলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে- এমন শঙ্কা চিকিৎসকদের।
অন্যান্য অনেক জেলার মতোই বছরের শুরুতে কুষ্টিয়ায় আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। গত শুক্রবার থেকে রবিবার, এই তিনদিন নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিলো ৩০ এর ওপরে। যা গত সাড়ে তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
পৌর ও সদর উপজেলায় শনাক্তের হার বেশি হলেও মানুষের মধ্যে নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা। অধিকাংশেরই মাস্ক নেই, আছে নানা অজুহাত।
শহরের অলিগলিতে মাস্ক না পরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ। যানবাহনে অনেকেই বসছেন গাদাগাদি করে। বাস কাউন্টারগুলোর অবস্থাও একই।
সচেতন হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ চিকিৎসকদের। তা না হলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ, এমন শঙ্কা তাদের।
কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. বসির উদ্দীন বলেন, মানুষ এখন করোনাকে খুব সহজভাবে নিচ্ছে। এটা যে একটা হেলথ হ্যাজার্ড মানুষ গণ্যই করছেনা। জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই তাকে আইসোলেশনে যাওয়া উচিত।
এদিকে, রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় নানা ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় কাজ করচি। প্রচার, প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের পুশিল প্রশাসন, জেলা প্রশাসন সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রবিবার পর্যন্ত চলতি মাসে কুষ্টিয়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৪১ জনের আর মৃত্যু হয়েছে চারজনের।