আন্তর্জাতিক, আমেরিকা

কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রাজ্যে

মুহাম্মদ খালেদ হাসান

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ৩০শে মে ২০২০ ০৯:২৯:১৯ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রাজ্যে

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রাজ্যে। অনেকস্থানে বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিয়েছে। মিশিগানে অজ্ঞাত ব্যক্তির গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন এক বিক্ষোভকারী। ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডেও এক পুলিশের মৃত্যু হয়েছে। আটক করা হয়েছে কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে।

"আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছিনা, প্লিজ থামুন"; এটিই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসে পুলিশি বর্বরতায় প্রাণ হারানো কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েডের শেষ কথা।

গেল সোমবার গ্রেপ্তারের চেষ্টার সময় বাধার মুখে জর্জ ফ্লয়েডকে মাটিতে ফেলে হাটু দিয়ে গলা চেপে ধরে চার পুলিশ সদস্য। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বেঁচে থাকার আকুতি জানালেও থামে নি পুলিশের নির্যাতন। প্রায় ৫ মিনিট গলায় হাটু চেপে ধরে রাখা হয়। এক পর্যায়ে মারা যান ফ্লয়েড।

জর্জ ফ্লয়েডের ওপর পুলিশি নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরলে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে যুক্তরাষ্ট্র। মিনেসোটায় কারফিউ ভেঙ্গেই রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজারো মানুষ। নিউ ইয়র্ক এবং জর্জিয়ায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভ হয়েছে কেন্টাকি, ক্যালিফোর্নিয়াসহ অন্তত ৩০টি অঙ্গরাজ্যে।

বিভিন্ন জায়গায় এই বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিয়েছে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পাশাপাশি দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আটলান্টায় মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের কার্যালয়েও ভাংচুর চালানো হয়েছে।

এদিকে, মিশিগানের ডেট্রয়েটের অজ্ঞাত এক ব্যক্তির গুলিতে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডেও সহিংসতায় এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও এক পুলিশ সদস্য।

সহিংসতার মুখে মিনিয়াপলিসে সাময়িকভাবে কারফিউ জারি করা হয়। এছাড়া ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেন মিনেসোটার গভর্নর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জর্জিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বিক্ষোভকারীরা জড়ো হতে শুরু করলে লকডাউন করা হয় হোয়াইট হাউজ।

এরই মধ্যে জর্জ ফ্লয়েডকে শ্বাসরোধ করা পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।  এঘটনার পর নিহত ফ্লয়েডের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন ডেরেক শভিনের স্ত্রী। পাশাপাশি কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে ডেরেকের পরিবার। এছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরো তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও হত্যায় অংশ নেয়ার অভিযোগ আনা হয়।

আরও পড়ুন