ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে ফেডারেশনে আসছেন না হকির সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ। কারণ দর্শানোর চিঠি পাঠানো হয়েছে বাসার ঠিকানায়।
এ বিষয় করা হয়েছে ই-মেইলও। কিন্তু এখনো মেলেনি উত্তর। তাই এবার গঠনতন্ত্র মোতাবেক নেয়া হবে ব্যবস্থা, জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। ‘হকি বাচাও’ শ্লোগান নিয়ে গত বছর এপ্রিলে ঢাকঢোল পিটিয়ে নির্বচনে জয়ী হয়ে সাধারণ সম্পাদকের পদে আসেন তরুণ সংগঠক মমিনুল হক সাঈদ।
ফেডারেশনে শুরু হয় হকি গোছানোর নানা পরিকল্পনা। আসতে থাকে কর্মসূচি। কিন্ত মাস ছয়েক পর ক্যাসিনো কেলেংকারীতে নাম এসেছে মমিনুল হক সাঈদের। এরপর হকি বাঁচাবে কি নিচেকে বাঁচাতেই পালিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক। ফেডারেশনের সাথে আর রাখেননি কোন রকম যোগাযোগ।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী টানা ছয়মাস অনুপস্থিত থাকা, নির্বাহী কমিটির ৩টি বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যহতির অন্যতম কারণ হতে পারে। যেখানে সাঈদ অংশ নেননি শেষ চারটি বৈঠকে, ফেডারেশনে উপস্থিতি তো দুরের কথা কোন রকম খোজ নেই সাইদের।
বাহফের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘সভাপতি মহাদয়ের নির্দেশে আমরা সাধারণ সম্পাদক মহাদয় কেথায় আছেন তা জানার ব্যাপারে চিঠি দিয়েছি। উনাকে অনুরোধ করেছি ২৭শে জুলাইয়ের মধ্যে উনি কোথায় আছেন জানানোর জন্য। পরবর্তী সিন্ধান্ত নিবেন নির্বাহী কমিটি।’
করোনায় মাঠের খেলা বন্ধ। তবে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে বিমান বাহিনীর ঘাটিতে আইসোলেশন ক্যাম্প করতে অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়কে চিঠিও দেয়া হয়েছ। পরিস্থিত একটু স্বাভাবিক হলেই প্রিমিয়ার লিগও চালু করতে চায় ফেডারেশন।