চট্টগ্রাম টেস্টে না গতি, না সুইং কোনটাই আদায় করতে পারেনি টাইগার পেসাররা। যা হাত খুলে খেলতে সাহায্য করেছে প্রতিপক্ষকে। পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভাষ্যকার সিকান্দার বখত বলেছেন, পরিশ্রম করতে হবে এবাদত, রাহীকে। কাজ করতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেটের উইকেট নিয়ে।
চট্টগ্রাম টেস্টে আট উইকেটের পরাজয় বাংলাদেশের। ব্যবধানই বলে দিচ্ছে উইকেট নেবার কাজ যাদের, তারাই হয়েছে ব্যর্থ। পাকিস্তানের শাহীন আফ্রিদি-হাসান আলী যা পেরেছেন তা পারেননি ইবাদত-রাহিরা।
পাকিস্তানের ধারাভষ্যকার সিকান্দার বখত চট্টগ্রাম টেস্টে খুঁজেছেন বাংলাদেশের দুর্বলতা। পেয়েছেনও কিছু।
তিনি জানান, আমার মনে হয় পেস এই টেস্টে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। টেস্টে অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ। বল মুভ করানো, ১৪৫ কিলোতে বল করা এগুলোই ম্যাচে আপনাকে এগিয়ে দিবে। বাংলাদেশের বোলাররা সাইড ওয়েতে বল করতে পারেনি। সুইংও ছিল না। এজন্য স্লিপ দরকার পড়েনি। এমন অবস্থায় কিভাবে আপনি ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জ জানাবেন?
সাদমান, সাইফ, শান্তরা বার বার ব্যর্থ। তবে কি সাকিব-তামিমকেই বইতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভার?
সিকান্দার বখত আরও জানান, ট্রান্সফার অফ পাওয়ারশিপ গুরুতপূর্ণ। আপনার এমন প্লেয়ার থাকতে হবে যারা আগামী পাঁচ থেকে দশ বছর সার্ভিস দিবে। তাদেরকে এখন তামিম-সাকিবদের সঙ্গে খেলাতে হবে, অভিজ্ঞতা অর্জন করাতে হবে।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে যে উইকেটে হয়, তাতে হাঁটুর ওপরই বল ওঠে না। সেখানে শাহীন আফ্রিদিদের বাউন্সার কিভাবে সামলাবে টাইগার ব্যাটাররা?
সিকান্দার বখত আরও বলেন, ফোর ডে ক্রিকেটে বোলারদের জন্য, রেজাল্টের জন্য উইকেট বানাতে হবে। ব্যাটসম্যান বোলার দুই সাইডই যেন সুবিধা পায়। এতে করে তারা ইন্টারন্যশনাল পর্যায়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পারফর্ম করতে পারবে।