সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানের পদত্যাগের গুজব ছড়িয়ে দেশের পুঁজিবাজার টালমাটাল করার অভিযোগ উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যানের পদত্যাগের গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টার কথা বলা হচ্ছে বিএসইসির পক্ষ থেকেই। গুজবের ফলেই লোকসানে শেয়ার বিক্রি করেছেন আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু গুজব নয়, বিমা খাতের কোম্পানির পরিচালকদের একযোগে বিপুল শেয়ার বিক্রিতেও সূচক কমছে শেয়ারবাজারের।
টানা ৬ দিনের পতনে ২৭১ পয়েন্ট হারিয়ে টালমাটাল ঢাকার পুঁজিবাজার। সপ্তম কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর পর থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো পুঁজিবাজার। তখনই বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগের গুজব ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাজারে। ফেসবুকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে ছড়ানো এই গুজবে আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা। ফলাফল হিসেবে আরো ৭৬ পয়েন্ট হারায় ঢাকার পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, ফেসবুক এবং বিভিন্ন অনলাইনে চেয়ারম্যানের পদত্যাগের বিষয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে আবার লিখেছেন তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নর হিসেবে যোগদান করছেন। এটার জন্য পুঁজিবাজারে এতো প্রভাব পড়বে এটা আমরা মানতে পারছি না।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, পদত্যাগের বিষয়টি মোটেও সত্য না। এটা তেমন কোন বড় কারণ না। কারণটা হচ্ছে যারা সুযোগটা নিবে যেমন বিমা কোম্পানীর যে উদ্যোক্তারা আছেন তারা। ১৯ জনের মত পরিচালক একযোগে তাদের শেয়ার বিক্রি শুরু করেছে। তারা দেখছে যে তাদের শেয়ারের দাম তিন থেকে চারগুন হয়েছে যেটা তারাও ভাবে নাই। সেই সুযোগটাই তারা নিয়েছে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সবসময় সবচেয়ে বেশি লাভজনক হয়েছে যারা বেশি ফাউল প্লে করেছে।
এদিকে পদত্যাগের ঘটনা সম্পূর্ণ গুজব বলে দাবি করে বিনিয়োগকারীদের সাবধান থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, বেশকিছু মহল এসব গুজব ছড়িয়ে শেয়ারবাজারকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সাবধান এবং সোচ্চার থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএসইসি প্রধান।
গুজব রটানাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা।