অর্থনীতি, জেলার সংবাদ

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পিছিয়ে গেল রবি শস্যের উৎপাদন

এ. এস. এম রেজওয়ানুছ সাদাত

ডিবিসি নিউজ

শুক্রবার ১৫ই নভেম্বর ২০১৯ ১০:১৫:১২ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফসল ডুবে যাওয়ায় ধানসহ অন্যান্য ফসল ঘরে তোলার আশা ছেড়ে দিয়েছেন কৃষকরা।

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে পিছিয়ে গিয়েছে পেঁয়াজ-রসুনসহ শীতকালীন ফসল উৎপাদন। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, শরীয়তপুরে পেঁয়াজ-রসুনের আবাদ করা ৮৭৫ হেক্টর জমির মধ্যে পানিতে ডুবেছে ৬১০ হেক্টর। এদিকে, ঝড়ের প্রভাবে ফসলের ক্ষেত ডুবে যাওয়ায় এবার ঠিক সময়ে ধানসহ অন্যান্য ফসল ঘরে তোলার আশা ছেড়ে দিয়েছেন ঝালকাঠির কৃষকেরা।

বর্ষাকাল দীর্ঘায়িত হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রবি শস্য আবাদে শরীয়তপুরের কৃষকদের দেরি হয়েছে প্রায় এক মাস। তার ওপরে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে নিচু জমিতে পানি জমে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জাজিরা অঞ্চলের পেঁয়াজ-রসুন চাষীরা।

আর ক’দিন বাদেই পাকা ধান ঘরে উঠবে কৃষকের। কোথাও ধান পাকতে শুরু করেছে, কোথাও শীষ বেড়িয়েছে, পেঁপে গাছে ফল ধরেছে, কারো বাড়ির মাচা ছেয়ে গেছে লাউ, করলাসহ অন্যান্য শাক সবজিতে। কিন্তু, ঝালকাঠির কৃষকের এ স্বপ্ন ভেঙ্গে দিয়েছে ঘুর্ণিঝড় বুলবুল। কৃষকরা জানিয়েছেন যে সব ক্ষেত ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত হয়েছে সেসব ক্ষেতের আমন ধান চিটা হয়ে যাবে। মরে যাবে শাক-সবজি এবং অন্যান্য ফসল।

জেলা কৃষি অফিস বলছে, ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য কৃষকদের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঝালকাঠি কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো, ফজলুল হক জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন কৃষকদের জন্য সহায়তা পেলে তা ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে।

চলতি মৌসুমে ঝালকাঠিতে মোট ৪৮ হাজার ১'শ হেক্টর জমিতে আমন,  এক হাজার হেক্টর জমিতে শীতের শাক-সবজি, ৩৫০ হেক্টর জমিতে পেঁপে, ১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে কলা এবং ৪৮৬ হেক্টর জমিতে পান আবাদ হয়েছে।

আরও পড়ুন