পদ্মশ্রী, সাহিত্য একাডেমিসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারজয়ী নবনীতার জন্ম কলকাতায়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ১৯৫৯ সালে। ১৯৭৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়।
চলে গেলেন কলকাতার বিশিষ্ট সাহিত্যিক নবনীতা দেবসেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ হিন্দুস্তান রোডের বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। নবনীতা দেবসেন একাধারে কবি, সাহিত্যিক, লেখক, প্রাবন্ধিক ছিলেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন নবনীতা। তার মধ্যেও নিয়মিত লেখালেখি করে গিয়েছেন। আজ তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
পদ্মশ্রী, সাহিত্য একাডেমিসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারজয়ী নবনীতার জন্ম কলকাতায়। তার বাবা ও মা রাধারানি দেবী ও নরেন্দ্রনাথ দু’জনেই কবি ছিলেন। নবনীতাও আজীবন কাব্যচর্চা করে গিয়েছেন। কবিতা ও গদ্য, উভয়ক্ষেত্রেই তিনি সিদ্ধহস্ত। এ ছাড়া ভ্রমণকাহিনি রচনাতেও তার দক্ষতা অনস্বীকার্য। তিনি দীর্ঘ দিন ‘রামকথা’ নিয়ে কাজ করছেন। সীতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তিনি রামকথার বিশ্লেষণ করেছেন। ‘চন্দ্রাবতী রামায়ণ’ তাঁর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল ১৯৫৯ সালে। তাদের দুই মেয়ে অন্তরা দেবসেন এবং নন্দনা সেন। ১৯৭৬ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পরে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান তিনি। শিক্ষাবিদ নবনীতা অধ্যাপনা করেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে। তিনি আমেরিকার কলোরাডো কলেজের তুলনামূলক সাহিত্যে মেট্যাগ প্রফেসর ছিলেন। এ ছাড়া তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাধাকৃষ্ণণ স্মারক লেকচারার ছিলেন।
নবনীতা দেবসেনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।