চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে বিএনপি সমর্থিত একজনও জয় পায়নি। বিএনপির দাবি, পুলিশি হয়রানি ও এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়াই পরাজয়ের কারণ। আওয়ামী লীগের নির্বাচিত কাউন্সিলররা বলছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির কারণে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ৩৯টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৩৯টির মধ্যে ৩২টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আর ৭টিতে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র। সংরক্ষিত ১৪ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্যে ১৩টিতেই জয়ী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী। একটিতে স্বতন্ত্র।
এবার সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর কোনও ওয়ার্ডেই জয় পায়নি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত নির্বাচিত কাউন্সিলরদের দাবি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির কারণে বিএনপির প্রার্থীদের প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর পুলক খাস্তগীর বলেন, মানুষ তাদেরকে কেন গ্রহণ করবে। তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের জন্য মানুষ তাদের প্রত্যাখান করেছে।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলর আবুল হাসনাত বেলাল বলেন, তাদের সহিংসতার রাজনীতির জন্য মানুষ তাদের প্রত্যাখান করেছে। নিরাপদ চট্টগ্রাম গড়ার অঙ্গিকারের জন্যই জনগণ আমাদের নির্বাচিত করেছে।
আর বিএনপি নেতাদের দাবি, ভোটের আগে পুলিশি হয়রানি ও এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে না দেয়ার কারণেই এই অবস্থা।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আমাদের প্রার্থী এজেন্ট কাউকেই কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয় নাই। আমাদের প্রার্থীদের পরিবারের লোকজন এমনকি সাধারন জনগণদেরও তাদের ক্যাডার বাহিনী ভোট দিতে দেয় নি।
২০১৫ সালের নির্বাচনেও বিএনপি থেকে নয়জন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।