আন্তর্জাতিক, ভারত

'চারদিন ধরে শুধু পানি খেয়ে বেঁচে আছি'

Kamrul Islam Rubel

ডিবিসি নিউজ

বুধবার ১লা এপ্রিল ২০২০ ১০:১২:৩৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

লকডাউনে আগে মালিক কিছু টাকা দিয়েছিলেন তাই দিয়ে তিন চারদিন খেয়েছি। এরপর থেকে আমরা কয়েকশ' শ্রমিক শুধু পানি খেয়ে বেঁচে আছি।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পুরো ভারত লকডাউন। এ অবস্থায় খাদ্য সঙ্কটে অনেক শ্রমিক। লকডাউন থাকায় তারা নিজ গ্রামে ফিরতে পারছেন না।

গুজরাটের সুরাট শহরে কাজ করতে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের মুহম্মদ সেকেন্দার শেখ এক শ্রমিক তার কষ্টের কথা বর্ণনা করে বলেন, 'রবিবার কারফিউ ঘোষণার আগের দিন মালিক কিছু টাকা দিয়েছিল। তা দিয়ে তিন চার দিন খেয়েছি। তারপর থেকে আমরা কয়েকশ' বাঙালি শ্রমিক শুধু পানি খেয়ে থাকছি। একটাও পয়সা নেই হাতে। কোনও মতে পেটে গামছা বেঁধে রয়েছি। সবাইকে মিনতি করছি, একটু আমাদের কথাটা ভাবুন।' বলছিলেন গুজরাটের সুরাট শহরে কাজ করতে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গের এক শ্রমিক মুহম্মদ সেকেন্দার শেখ।

ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে যখন লকডাউন চলছে, তার মধ্যেই এক মানবিক সঙ্কটের দিকে দেশটি এগোচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।

দিল্লি, মুম্বাই, গুজরাট বা দক্ষিণ ভারতে কাজ করতে যাওয়া কয়েক লক্ষ শ্রমিক সেইসব জায়গায় আটকে পড়েছেন। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলি তাদের আর্থিক অনুদান এবং খাদ্যদ্রব্য সরবরাহের বিষয়ে আশ্বস্ত করলেও সেসব সাহায্য তাদের কাছে এখনও পৌঁছায়নি।

দিল্লির একটি বাস টার্মিনালের ছবি বহু মানুষই দেখেছেন, কয়েক লক্ষ মানুষের ভিড় সেখানে, লকডাউনের পরে তারা নিজের নিজের গ্রামে ফেরার চেষ্টা করছেন।

বহু মানুষ পায়ে হেঁটেই পাঁচ, ছয় বা সাতশো কিলোমিটার দূরে নিজের গ্রামে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছেন স্ত্রী সন্তানদের হাত ধরে।

অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন যে এই কয়েক লক্ষ মানুষ নিজেদের গ্রামে ফিরে যেতে গিয়ে সারা দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেবেন।

কিন্তু, তারা বাধ্য হচ্ছিলেন পায়ে হেঁটে শত শত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে কারণ এদের কাজ বন্ধ, তাই খাবারের সংস্থান অনিশ্চিত। গ্রামে ফিরলে অন্তত ঘরভাড়া গুনতে হবে না, আর কোনও মতে খাবার ঠিকই জুটে যাবে - এমনটাই ভেবেছিলেন এরা।

যদিও দিন কয়েক পরে সরকার ওইসব পরিযায়ী শ্রমিকদের দিল্লি ত্যাগ আটকাতে পেরেছেন। তবে লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই অনেকে ফিরে এসেছেন গ্রামের বাড়িতে।

সূত্র: বিবিসি

আরও পড়ুন