বিনোদন, হলিউড

চার্লি চ্যাপলিনের জন্মদিন; বিশ্ব চলচ্চিত্রে আজও তিনি প্রভাবশালী

ডিবিসি নিউজ ডেস্ক

ডিবিসি নিউজ

শনিবার ১৭ই এপ্রিল ২০২১ ১২:২৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

চলচ্চিত্রের প্রায় সমান বয়সী তিনি। বিশ্বজুড়ে সিনেমাশিল্প জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার হাত ধরে। তিনি বলতেন 'হাসি ছাড়া একটা দিনও অপচয়'।

দারিদ্র্যের সংগে লড়তে লড়তে দুঃখ আর বেদনাকে সিনেমায় শিল্প করে উপস্থাপন করেছিলেন তিনি; এবং আজও বিশ্ব চলচ্চিত্রে তিনি সবচেয়ে প্রভাবশালী নাম। তিনি চার্লি চ্যাপলিন। আজ তার জন্মদিন।

শিল্পী জীবনের প্রায় পুরোটাই কাটিয়েছেন নির্বাক যুগের চলচ্চিত্রে কাজ করে। তবে সিনেমা সবাক যুগে প্রবেশের পরও আজ পর্যন্ত একইরকম প্রাসঙ্গিক চার্লি চ্যাপলিন। একাধারে ছিলেন চিত্রনাট্যকার, পরিচালক, অভিনেতা ও সঙ্গীত পরিচালক। তাই সিনেমাশিল্পের প্রতিটি বিভাগেই তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। যুগে যুগে অসংখ্য অভিনেতার অনুপ্রেরণা হয়েছেন চার্লি।

১৮৮৯ সালের ১৬ই এপ্রিল লন্ডনে মঞ্চাভিনেতা বাবা-মায়ের ঘরে জন্ম নেন চার্লস স্পেন্সার চ্যাপলিন। যাকে পরবর্তীতে বিশ্ববাসী চার্লি চ্যাপলিন নামেই চেনে। বাবা-মা দু'জনেই কাজ করতেন স্থানীয় একটি মিউজিক হলে। মূলত সেখান থেকেই সংস্কৃতির প্রতি চ্যাপলিনের অদম্য আগ্রহের সূচনা।

শৈশব থেকেই অবর্ণনীয় দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন। চ্যাপলিন তাই জানতেন মানুষের জীবনে আনন্দের মূল্য কতটা। ১৯ বছর বয়সে পাড়ি জমান মার্কিন মুলূকে। ১৯১৪ সালে ২৫ বছর বয়সে প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত। নিজের সৃষ্ট ভবঘুরে চরিত্র ‘ট্র্যাম্প’ মন জয় করে নেয় দর্শকদের । 

নাকের নিচে ছোট গোঁফ, মাথায় টুপি, হাতে ছড়ি, জীর্ণ কালো কোট আর ঢিলেঢালা প্যান্ট।  পরনে ঢাউস জুতো। ট্র্যাম্পের এই  চেহারা সিনেমা যতদিন টিকে থাকবে, ততদিনই দর্শকের হৃদয়ে বেঁচে থাকবে এই চরিত্র।

পরবর্তীতে একের পর এক সিনেমায় অভিনয় আর পরিচালনা দিয়ে সম্মৃদ্ধ করেছেন চলচ্চিত্রকে। কৌতুকের আড়ালে ফুটিয়ে তুলেছেন  জীবনের গূঢ় সত্যগুলোকে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগে দ্য গ্রেট ডিক্টেটর সিনেমায় দেখিয়েছিলেন কিভাবে হিটলারের অশুভ ছায়ায় ঢেকে যাচ্ছে পৃথিবী। ছবিতে চ্যাপলিনের হিংকল যেভাবে বিশ্ব মানচিত্রকে নিয়ে খেলেছেন। পরবর্তী কয়েক বছর হিটলারও একইভাবে পৃথিবীকে নিয়ে খেলা করে পাল্টে দেয় বিশ্ব মানচিত্র।

চার্লি চ্যাপলিনের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হলো, দ্য ট্রাম্প (১৯১৪), অ্যা ডগস লাইফ (১৯১৭), শোল্ডার আর্মস (১৯১৮), দ্য কিড (১৯২১), দ্য সার্কাস (১৯২৬), সিটি লাইটস (১৯৩১), মডার্ন টাইমস (১৯৩৬), দ্য গ্রেট ডিক্টেটর (১৯৪০), দ্য গোল্ড রাশ (১৯৪২), লাইম লাইট (১৯৫২), মঁসিয়ে ভের্দ্যু।

১৯৭৭ সালের ২৫শে ডিসেম্বর সুইৎজারল্যান্ডে ৮৮ বছর বয়সে ঘুমের মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মহান এই শিল্পী। 

আরও পড়ুন