আন্তর্জাতিক, স্বাস্থ্য

চীনে দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে রহস্যজনক ভাইরাস

আকরাম হোসেন

ডিবিসি নিউজ

মঙ্গলবার ২১শে জানুয়ারী ২০২০ ০৯:০০:৩৭ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি।

চীনে রহস্যময় ভাইরাসের সংক্রমণে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। এ নিয়ে এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়জন। আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত তিনশজন।  এ ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরে নজরবন্দিতে রয়েছে আরও ১৩শ'জন।

চীনা নববর্ষের ছুটিতে দেশটির কয়েক লাখ নাগরিক এক শহর থেকে অন্য শহরে ভ্রমণের প্রস্তুতি নেয়ায় প্রাণঘাতী ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ মারাত্মক আকার ধারণ করছে।

এরইমধ্যে চীনে স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে ভাইরাসটি মানুষের মাধ্যমেই ছড়াচ্ছে। অন্তত ১৫ স্বাস্থ্যকর্মী এরই মধ্যে সেবা দিতে গিয়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চীন ছাড়াও জাপান, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

এ পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বুধবার বৈঠক ডেকেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রহস্যজনক এ ভাইরাসের মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক দেশগুলোর সহযোগিতা চেয়েছে বেইজিং।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুং বলেন, এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে এরইমধ্যে উহান শহর থেকে জনগনকে বের না হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন শহরে নেয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। এছাড়াও এ বিষয়ে আন্তজাতিক সহযোগিতার আহ্বান করছে চীন।

চিকিৎসকরা বলছে এই ভাইরাসটি প্রতিরোধ-যোগ্য এবং একে নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব। পাশাপাশি মানুষদের হাত পরিষ্কার রাখাসহ চিকিৎসকের কাছে কোন তথ্য গোপন না করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিটির বিশেষজ্ঞ ঝং নানশন জানান, সংক্রমণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। চীনের চমৎকার নজরদারি ও আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থাপনা ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করবে।

এদিকে এ ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে এজন্য বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বিমানবন্দরগুলোতে নেয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা।

গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় চীনের উহান শহরে এই ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রাণীদেহ থেকে প্রথম এটি ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ডব্লিউএইচও। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রথমেই যে লক্ষণগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো হলো, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশি।  অনেকটা নিউমোনিয়ার মতোই এই ভাইরাসটি এক ধরনের করোনা ভাইরাস।

আরও পড়ুন