ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনের দিনক্ষণ নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে সংগঠনটির সম্মেলন নিয়ে নির্দেশনা দিলেও, দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশেই নির্ধারিত হবে তারিখ। এসব নিয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের একাংশের প্রশ্নের মুখে পড়েছেন শীর্ষস্থানীয়রা। তবে জল্পনা-কল্পনার অবসান হয়ে দ্রুতই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে, এমন প্রত্যাশা ছাত্রলীগ কর্মীদের।
গেলো মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সাথে সহযোগী সংগঠনগুলোর সভা হয়। সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগসহ আরো তিন সংগঠনকে সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশনা দেন।
এরপর থেকেই আলোচনায় ছাত্রলীগের সম্মেলন। সবশেষ শনিবার দুপুরে মধুর কেন্টিনে সম্মেলনপ্রত্যাশী নেতাদের সঙ্গে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের বৈঠক হয়।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ, সম্মেলনের তারিখ নিয়ে বরাবরের মতোই সময়ক্ষেপণ করছে বর্তমান কমিটি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন বলেন, তারা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই দেখছি নিজেদের স্বার্থের জন্য সংগঠনে একটি নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করেছে। ছাত্রলীগের সম্মেলন হয়ে গেলে তারা আর স্বার্থ হাসিল করতে পারবে না বিধায় বিভিন্ন জায়গায় তদবির করে সম্মেলন না করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সংগঠনটির আরেক সহ সভাপতি সোহান খান বলেন, প্রতি সম্মেলনের আগেই এমনটা করে থাকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। যাতে করে তাদের ক্ষমতা না যায়। সম্মেলনের আগে তারা বিভিন্ন ইউনিট কমিটিগুলো ঝুলিয়ে রাখে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের উচিত সংগঠনকে গতিশীল করতে সবাইকে সমন্বয় করে বাংলাদেশ ছাত্রলোগের একটি সুন্দর সম্মেলনের আয়োজন করা।
আর ছাত্রলীগ সভাপতি বলছেন, দলের সভাপতি শেখ হাসিনা যখনই বলবেন, তখনই সম্মেলন আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে থাকে। তিনিই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেন। তিনি কিন্তু এখনও সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেন নি। আমরা কেন সম্মেলন করছি না এটা নিয়ে একটা মহল ধোঁয়াশা তৈরি করছে। আমরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তুতি নিব।
ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন হয় ২০১৮ সালের মে মাসে। পরের বছর চাঁদা দাবির অভিযোগে পদ হারান শীর্ষপদের দুজনই। তখন থেকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক। পরে, ২০২০ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তাদেরপূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব দেয়া হয়।