জাতীয়, রাজনীতি, শিক্ষা

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ প্রশ্নে যা বলছেন ছাত্র নেতারা

ময়ূখ

ডিবিসি নিউজ

বৃহঃস্পতিবার ১০ই অক্টোবর ২০১৯ ০৩:৫০:৫৫ অপরাহ্ন
Facebook NewsTwitter NewswhatsappInstagram NewsGoogle NewsYoutube

আবরার হত্যা- শুধু বুয়েট নয় আলোচনা শুরু হয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার।

শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের এ দাবিটিকে, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের প্রতিফলন হিসেবে দেখছে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো দাবি করছে, রাজনীতি বন্ধ হলে ক্যাম্পাসগুলোতে ডালপালা মেলবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির।

আবরার হত্যার ঘটনায় বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়িয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বুয়েটের ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীসহ অনেকেই বলছেন আবরার নষ্ট রাজনীতির শিকার। দাবি উঠেছে বুয়েটসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের। 

তবে এ দাবির বিপক্ষে ছাত্র সংগঠনগুলো।ছাত্রলীগ বলছে, ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে উঠে আসবে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজনিয়তা। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, 'তারা যদি ভালোভাবে চিন্তা করে , ইতিহাস ভালোভাবে কল্পনা করে- কিভাবে বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে, তারা এটা জানলে হয়তো এ কথা বলতো না।'

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর অভয়ারণ্যে পরিণত হবে - এমন আশংকা করছেন বাম ছাত্রসংগঠনের নেতারা। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, 'হয়তো তারা মনে করছে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করলে তাদের নিপীড়ন কমবে। কিন্তু আমরা মনে করি, এমনটা হবে না। নেগেটিভ রাজনীতির পরিবর্তে যদি পজেটিভ রাজনীতি বন্ধ করা হয় তবে সেটা প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকেই আরো বেশি সংগঠিত করবে।' 

ছাত্র রাজনীতি প্রয়োজনিয়তা উল্লেখ করে ছাত্রদল বলছে, সাধারণ ছাত্ররা ছাত্ররাজনীতি নয় ,বরং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের অবসান দেখতে চায় তারা। 'ছাত্রলীগ দানবীয় শক্তিতে পরিনত হয়েছে' বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। 

এদিকে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ চালুর মাধ্যেমে দখদারিত্বের রাজনীতি অবসান হলেই ছাত্ররাজনীতির প্রতি আস্থা ফিরবে সাধারণ ছাত্রদের এমনটি বলছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক।  

তবে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধরের বিষয়টি ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীর পাশপাশি শিক্ষকরাও একমত হয়েছেন।

আরও পড়ুন