দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে জমে উঠেছে রাস উৎসব।
হাজারো ভক্ত-পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে মন্দির প্রাঙ্গণ পরিণত হয়েছে মিলনমেলায়।
তবে ঘূর্ণিঝড় 'বুলবুল'র কারণে এবার দর্শনার্থীর উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
প্রতি বছরই রাস উৎসব উপলক্ষে দিনাজপুরের কাহারোলে ঐতিহাসিক কান্তজিউ মন্দির প্রাঙ্গণে বসে মাসব্যাপী রাসমেলা।
গত রবিবার মধ্য রাতে শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলা শুরু হলেও সন্ধ্যায় রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উৎসব উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় করছেন হাজারো ভক্ত, পূণ্যার্থী ও দর্শনার্থী।
কান্তজিউ মন্দিরের এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির হিসেবে উল্লেখ করে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ বলেন, "সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেইটি হলো আমাদের এই মেলার মূল প্রতিপাদ্য। সেই ১৭৫২ থেকে আজ অব্দি এই মেলা চলে আসছে। ঝড়-ঝঞ্জা-যুদ্ধ-বিগ্রহে কখনোই এই মেলা থামেনি।"
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছাড়াও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষও উৎসবে দেখতে আসেন বলে জানান আয়োজকরা।
তবে তারা জানালেন, প্রতি বছর দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ রাস উৎসবে যোগ দিলেও এবার দক্ষিনণাঞ্চলে দুর্যোগের কারণে দর্শনার্থীর উপস্থিতি কিছুটা কম।
দিনাজপুর রাজদেবোত্তর এষ্টেট সদস্য এবং রাস উৎসবের আয়োজকদের অন্যতম প্রেম নাথ রায় বলেন, "সারাদেশের এবং বিদেশের লাখ লাখ লোকের সমাগম ঘটে। কিন্তু এবার দক্ষিণাঞ্চলে দুর্যোগের কারণে সেখানকার অনেক লোক এবার আসতে পারেনি।"
রাস উৎসব শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানালেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান বলেন, "সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি আছে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে আমরা সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা করেছি।"