জ্বরে আক্রান্ত হয়ে উত্তর কোরিয়ায় নতুন করে আরো ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ এই তথ্য জানিয়েছে। তবে এসব করোনা ভাইরাসের কারণে এসব মৃত্যু হয়েছে কিনা তা সরাসরি উল্লেখ করেনি গণমাধ্যমটি।
এপ্রিলের শেষ থেকে জ্বরে ভুগে ২ লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসা নিয়েছেন ও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানায় পিয়ংইয়ং।মহামারি শুরুর দুই বছরের বেশি সময় পর করোনা সংক্রমণের কথা স্বীকারের দুই দিনের মধ্যেই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির তথ্য দিচ্ছে দেশটি।
এদিকে পরিস্থিতির জন্য দলীয় সংস্থাগুলোর অদক্ষতাকে দায়ী করেছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এই দুর্যোগকে দেশ প্রতিষ্ঠার পর অন্যতম বড় বিপযর্য় বলে জানালেও তা কাটিয়ে উঠা সম্ভব বলেও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পিয়ংইয়ংকে সব ধরনের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে চীন।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলছেন, ‘কোভিড-১৯-এর বিস্তার দেশটিকে ‘চরম অস্থিরতা’র মধ্যে ফেলেছে। তিনি কোভিড মহামারি কাটিয়ে উঠতে কোভিডের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যেই দেশটিজুড়ে ‘জ্বরে’ আক্রান্তদের মধ্য থেকে নতুন করে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে কোভিড মহামারি শুরু হওয়ার দুই বছরের বেশি সময় ধরে উত্তর কোরিয়া সে দেশে নভেল করোনাভাইরাসের কোনো সংক্রমণ নেই বলে দাবি করে আসছিল। চলতি সপ্তাহে দেশটি প্রথম বারের মতো করোনার প্রাদুর্ভাবের কথা স্বীকার করে। যদিও দেশটিতে ব্যাপক কোভিড পরীক্ষা কিংবা চিকিত্সার ব্যবস্থা চলছে বলে কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সূত্র: রয়টার্স