ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পার্কে বেড়াতে গিয়ে ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অরিফুল ইসলাম ও রতন মন্ডল নামে দু জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনরা জানায়, শৈলকুপার ধাওড়া হাইস্কুলের ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে কাশিনাথপুর গ্রামের আরিফুল ইসলাম ও ছোট ধলহরাচন্দ্র গ্রামের রিয়াজ নামে দুই যুবক স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করতো। ছাত্রীর বাবা প্রতিবাদ করায় তাকে হুমকিও দিত। গত ৪ এপ্রিল ওই ছাত্রী গ্রামের একটি পার্কে বেড়াতে গেলে তাকে একটি কুঠিরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে আরিফুল। ধর্ষনের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে ব্লাক মেইল করতে থাকে। ঈদের দিন আবারও ঐ পার্কে বেড়াতে গেলে আরিফুল ও রিয়াজ ওই ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে পার্কের ভিতরে একটি কুঠিরে নিয়ে আবারও ধর্ষন করে । এতে করে ঐ ছাত্রীটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ধর্ষনের ঘটনায় পার্কের কর্মচারি রতন মন্ডল সহায়তা করে।
মেয়েটির বাবা গতকাল বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় শৈলকুপা থানায় তিন জনকে আসামী করে মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই আরিফুল ও রতন মন্ডলকে গ্রেপ্তার করে। রিয়াজ পালিয়ে যায়। আজ সকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানিয়েছে কিশোরী মেয়েটিকে নানা প্রলোভনে দফায় দফায় ধর্ষণ করা হয়েছে এবং ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইলিং করে আসছিল।