ওয়েলিংটনে সিরিজের ৩য় ও শেষ ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই টাইগার টপ অর্ডার ভেঙ্গে পড়ে। মাত্র ৭ ওভারে ২৬ রানে তামিম, সৌম্য এবং লিটনের উইকেট হারিয়ে বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ দল। এরপর নিয়মিত বিরতিতে পড়তে থাকে উইকেট। একমাত্র মাহমুদুল্লাহ নামের প্রতি সুবিচার করতে পেরেছেন। ব্যক্তিগত ৭৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি
এছাড়া দুই অংকের স্কোর তুলেছেন মাত্র দুইজন ব্যাটসম্যান। মুশফিক ও লিটন দু'জনই ২১ রান করে ক্কোর বোর্ডে যোগ করেন। এছাড়া কেউই দুই অংকের স্কোরও করতে পারেননি। ফলে ৪২.৪ ওভারে ১৫৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
কিউইদের হয়ে জিমি নিশাম পকেটে পুরেছেন টাইগারদের পাঁচ উইকেট। এছাড়া ম্যাট হেনরি নেন চার উইকেট এবং জেমিসন নেন এক উইকেট।
এর আগে, ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে আগে ব্যাট করতে নেমে ডেভন কনওয়ে এবং ড্যারিল মিচেল এর জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জয়ের জন্য বাংলাদেশকে ৩১৯ রানের বিশাল টার্গেট দেয় নিউজিল্যান্ড।
টস হারলেও বোলিংয়ে শুরুটা ভালোই হয়েছিলো বাংলাদেশের। স্কোরবোর্ডে পঞ্চাশ ওঠার আগেই প্যাভিলিয়নে দুই ওপেনার নিকোলস আর গাপটিল। ৫৭ তে নাই তিন উইকেট। ফিরলেন টেলরও। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ল্যাথামও উইকেটে থাকতে পারেনি বেশিক্ষণ। ২৪ তম ওভারে কিউই ক্যাপ্টেন যখন ফেরেন রান তখন ১২০। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন কনওয়ে আর মিচেল। দলের পক্ষে সর্বাধিক ১২৬ রান করেন ডেভন কনওয়ে। এরপর সেঞ্চুরির দেখা পান মিচেলও। ইনিংসে শেষ বলে দুই রান নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত শতক স্পর্শ করেন ড্যারেল মিচেল। ৯২ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন মিচেল।
বাংলাদেশের পক্ষে ১০ ওভার বল করে ৮৭ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন মুস্তাফিজ। ৩ উইকেট পেলেও রুবেল রান দিয়েছেন ৭০। এছাড়া তাসকিন ও সৌম্য একটি করে উইকেট পান।
ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডানেডিনে সিরিজের প্রথম ম্যাচে আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বদলেছে ব্যাটিং চিত্র। তাতে লড়াইয়ের পুঁজিও জমা হয়েছে স্কোরবোর্ডে। কিন্তু বাজে ফিল্ডিং আর ক্যাচ মিসের মহড়ায় ওই ম্যাচও হাত ছাড়া হয়েছে লাল-সবুজদের।