সৌদি আরবের ভিসা পাওয়া ফাহিম নামের এক যুবকের মেডিক্যাল রিপোর্টে এইচআইভি পজেটিভ দেখিয়ে আনফিট রিপোর্ট দিয়েছে অ্যালাইড ডায়গনস্টিক লিমিটেড।
পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও আইসিডিডিআরবি থেকে পরীক্ষা করে দেখা যায়- তার শরীরে এইচআইভি ভাইরাস নেই। এই দুই প্রতিষ্ঠানের রিপোর্ট আমলে না নিয়ে পরিবারটিকে হয়রানি করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার আতাউর রহমানের ছেলে ফরহাদ হোসেন ফাহিম। পেয়েছেন সৌদি আরবের ভিসা। সৌদি যেতে শ্রমিকদের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত রাজধানীর কুড়িলের অ্যালাইড ডায়গনস্টিক লিমিটেড। সেখানে মেডিক্যাল পরীক্ষা করান ফাহিম। পরীক্ষায় তাকে আনফিট দেখানো হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফাহিম এইচআইভি পজেটিভ। এই রিপোর্ট সৌদি দূতাবাস ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরে, বাতিল হয়ে যায় ফাহিমের ভিসা। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ফাহিম। গ্রামে খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক হুমকিতে পড়ে পরিবারটি। লজ্জায় কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন ফাহিম।
ভুক্তভোগী ফরহাদ হোসেন ফাহিম বলেন, 'ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে পুরো পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় করা হয়েছে।'
এক পর্যায়ে ফাহিমের মা ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় আসেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ও আইসিডিডিআর'বিতে পরীক্ষা করালে ফাহিমের এইচআইভি নেগেটিভ আসে। দুই হাসপাতালের রিপোর্ট ওই ডায়াগনস্টিকে জমা দিলেও তারা গড়িমসি করে। রিপোর্ট সংশোধন করতেও রাজি হচ্ছে না। উল্টো চাইছে টাকা।
অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি জানান, যারা প্রবাসে দিন-রাত পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে তাদের বিষয়ে আরও সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, 'ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ভুল করেছে তারপরেও তারা তা স্বীকার করছে না। এমনকি তারা নিজেদের লাইসেন্স টিকিয়ে রাখার স্বার্থে যেকোনও কিছু করতে পারে।'
ভুক্তভোগী পরিবারটি অ্যালাইড ডায়াগনস্টিক লিমিটেড কর্তৃপক্ষের শাস্তি দাবি করেছে।